প্রতি পিস ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২.৫০ টাকায়
গত আগস্ট মাসের শুরুতে অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে ডিমের দাম। রাজধানীর গলির মুদি দোকানগুলোয় ফার্মের মুরগির ডিম প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়।
বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ধাপে ধাপে কিছুটা কমে ডিমের দাম।
গত ৭ দিনে পাইকারিতে কমেছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম।
কারওয়ান বাজারে পাইকারি ডিম বিক্রেতা মোহম্মদ লিটন বলেন, ১০০ পিস ফার্মের মুরগির ডিমের দাম এখন ১১৭০ টাকা। গত সপ্তাহে এটা ছিল ১২০০ টাকা।
পাইকারিতে দাম কমায় খুচরা বাজারে হালিতে ৫ টাকা কমেছে ডিমের দাম। এখন ৫০ টাকায় হালি বিক্রি হচ্ছে। যদিও সরকার নির্ধারিত প্রতিটি ডিমের দাম ১২ টাকা।
স্থানীয় বাজারে ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার গত ১৭ সেপ্টেম্বর ডিম আমদানির অনুমতি দেয়।
প্রথমে ৪ প্রতিষ্ঠানকে ডিম আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। পরে আরও ছয়টি কোম্পানিকে ৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আমদানিকারকেরা নিশ্চিত করেন, এতে খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস মুরগির ডিম কিনতে পাওয়া যাবে ৯-১০ টাকায়।
এদিকে সরকার প্রতিটি ডিমের খুচরা মূল্য ১২ টাকা নির্ধারণ করলেও রাজধানী ঢাকায় ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২ টাকা ৫০ পয়সা বা তারও বেশি দামে।
এছাড়া সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে মিলছে না আলু, পেঁয়াজ। বৃহস্পতিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কল্যাণপুর নতুন বাজার থেকে হাফিজুল হাসান আলু কেনেন ৫০ টাকা কেজিতে। আর দেশি পেঁয়াজ কেনেন ৮৫ টাকা কেজি। তিনি বলেন, "সরকারের দামে পণ্য পাওয়া যাচ্ছে না। আমরা বাধ্য হয়ে কিনছি।"
এদিকে কারওয়ান বাজার ও কল্যাণপুর বাজারে ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কারওয়ান বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহম্মদ আমির বলেন, "গত সপ্তাহে ১৭৫ টাকা কেজি ছিল। সামনে মুরগির দাম আরও বাড়তে পারে।"
এছাড়াও এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের কিছু সবজি নষ্ট হয়েছে। এর প্রভাবে রাজধানীর বাজারে সরবরাহ কমে বেড়েছে সবজির দাম।
কল্যাণপুর নতুন বাজারের সবজি বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, পাইকারিতে প্রায় প্রতিটি সবজিতে কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। এর ফলে খুচরাতেও দাম বেড়েছে এমন।
তিনি বলেন, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৭০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, বেগুন ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করছি। তবে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৮০ টাকা বেড়ে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান মনির।
"গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ পাইকারি কিনেছি ১২০ টাকা, আজকে কিনতে হলো ১৮০ টাকায়", যোগ করেন তিনি।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরায় কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ২০০ থেকে ২১০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।