আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির অনুমোদন ১১ ডিসেম্বর: কেন্দ্রীয় ব্যাংক
আইএমএফের ৪.৭ বিলিয়ন ডলার ঋণের দ্বিতীয় কিস্তির ৬৮১ মিলিয়ন ডলার আগামী ১১ ডিসেম্বর তাদের বোর্ড মিটিংয়ে অনুমোদিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আইএমএফ টিমের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে সমাপনী বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এমনটা জানান।
তিনি বলেন, "আমাদের মোট ছয়টি শর্ত ছিল। এরমধ্যে চারটি শর্ত পরিপালন করেছি, বাকি দুইটি শর্তের কিছু কিছু জায়গায় আমাদের ঘাটতি ছিল। আমরা সে বিষয়ে টিমের কাছে বিস্তারিত তুলে ধরেছি।"
"দুইটি শর্ত, নিট রিজার্ভ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ২৫.৩ বিলিয়ন রাখার শর্ত পরিপালন করতে পারিনি ও রাজস্ব সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি", বলেন তিনি।
মেজবাউল হক বলেন, "আইএমএফের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পর আমরা যেসব শর্ত আদায় করতে পারিনি সেগুলো বাস্তবায়নে কাজ করে যাবো।"
মুখপাত্র আরও বলেন, "মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে পলিসি রেট একবারে পয়েন্ট ০.৭৫% বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া ট্রেজারি বিল বন্ডের রেট ১০% এর বেশি। অনেকে বলছে নির্বাচন সামনে রেখে আমরা অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনি না। এমনটা হলে পলিসি রেট আমরা নির্বাচনের পরে করতাম।"
গত ৪ অক্টোবর ঢাকায় আসেন আইএমএফের ঋণ পর্যালোচনা মিশনের সদস্যরা। এরপর তারা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)- সহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সাথে বৈঠক সম্পন্ন করেন।
আইএমএফ মিশনের সাথে বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি কর্মকর্তারা তাদের বোঝাতে সক্ষম হন যে, জরুরি আমদানির ব্যয়, বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, বিশ্ববাজারে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বিবেচনায় আগামী বছরের জুন নাগাদ বৈদেশিক মুদ্রা মজুতের লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নয়।