গ্যাস-বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে উৎপাদন দেরি হচ্ছে কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলে: মেঘনা গ্রুপ
গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংযোগের অভাবে কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল উৎপাদনে যেতে পারছে না বলে জানিয়েছেন মেঘনা গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল।
মেঘনা গ্রুপের মালিকানাধীন চতুর্থ অর্থনৈতিক অঞ্চল 'তিতাস ইকোনমিক জোন' বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) থেকে প্রি-কোয়ালিফিকেশন লাইসেন্স (প্রাথমিক অনুমোদন) পেয়েছে।
লাইসেন্স হস্তান্তর অনুষ্ঠানে মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান বলেন, কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ইতোমধ্যে কারখানা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।
'অনেক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও আমরা কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চলে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ সংযোগ নিশ্চিত করতে পারিনি। এ সংযোগগুলো থাকলে এ বছরের শেষ নাগাদ কাচশিল্প এবং স্টিল রি-রোলিং কারখানার উৎপাদন সহজতর হতো,' বলেন মেঘনা গ্রুপের চেয়ারম্যান।
মেঘনা গ্রুপ অভ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিকানাধীন কুমিল্লা অর্থনৈতিক অঞ্চল ২০২২ সালের ২০ মার্চ সরকারের কাছ থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন পায়।
'আমরা তিতাস অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছি। সরকার যদি এখন থেকে গ্যাস ও বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার কাজ শুরু করে, আমরা আশা করি জোনটি বিকাশের দুই থেকে তিন বছরের মধ্যে আমরা সব সংযোগ পেয়ে যাব।'
মেঘনা গ্রুপ তিতাস অর্থনৈতিক অঞ্চলে তিন বিলিয়ন ডলারের নতুন বিনিয়োগ আশা করছে।
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গায় মেঘনা নদীর তীরে আনুমানিক ৪০০ একর জমিতে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উন্নয়নের প্রথম দফায় ১৬১ একর জমিতে দেশি ও বিদেশি শিল্প স্থাপন নিয়ে কাজ করা হবে। এরপর অদূর ভবিষ্যতে সম্পূর্ণ ৪০০ একর এলাকায় কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।
মেঘনা গ্রুপের কর্মকর্তারা বলছেন, এ অর্থনৈতিক অঞ্চলটি একটি আকর্ষণীয় অবস্থানে গড়ে উঠেছে। এখানে নদীপথের সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি এটি থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কও কাছাকাছি। জোনটি ঢাকা জিরো পয়েন্ট থেকে ৩৫ কিলোমিটার, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৫০ কিলোমিটার, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ২১০ কিলোমিটার এবং কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
বর্তমানে মেঘনা গ্রুপের অধীনে তিনটি অর্থনৈতিক অঞ্চল রয়েছে। এর মধ্যে মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোন এবং মেঘনা ইকোনমিক জোনে দেশি-বিদেশি শিল্প পণ্য উৎপাদন করছে। আর কুমিল্লা ইকোনমিক জোন বিনিয়োগকারীদের কাছে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত অবস্থায় রয়েছে।