ঋণ পরিশোধের চাপ তো কিছুটা আছে, খুব যে বেশি প্রেশার এমন না: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধের কিছুটা চাপ আছে, তবে পরিস্থিতি গুরুতর নয়।
তিনি বলেন, "প্রেশার তো কিছুটা আছে। তবে খুব যে বেশি প্রেশার বিষয়টি ওই রকম না। ঋণ পরিশোধের জন্য আমরা কি মরে গেছি?"
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) বাংলাদেশে নিযুক্ত চিফ অব মিশন আব্দুস সাত্তার এসয়েড এবং আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (ইফাদ) এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আবুল হাসান বলেন, বিদেশি ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতি নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি আছে। একটা কমে আরেকটা বাড়ে। কী করব, জোর করে ধরে নামাব? তবে একটু ধৈর্য ধরেন সব কিছু ঠিক হবে।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের তথ্যমতে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীকে ঋণের সুদ ও আসল বাবদ ২৬৭ কোটি ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। আগের অর্থবছরে যার পরিমাণ ছিল ২০১ কোটি ডলার।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মতে, অনেক ঋণের গ্রেস পিরিয়ড শেষ হওয়ায় চলতি অর্থবছরে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে। এছাড়া, বাজার-ভিত্তিক ঋণের সুদহার বাড়ায় সুদ পরিশোধও বেড়েছে।
ইআরডির প্রক্ষেপণ অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশকে মোট ৩৫৬ কোটি ডলার পরিশোধ করতে হবে।
আর ২০২৪-২৫ ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ঋণ পরিশোধের পরিমাণ হবে যথাক্রমে ৪২১ ও ৪৭২ কোটি ডলার।
এই প্রেক্ষাপটে আজ অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অর্থনীতি নানামুখী চাপে আছে, সেসব নিয়েই চলতে হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে কাজও করা হচ্ছে। ডলার সংকট ছিল কিন্তু তাতে সবকিছু আটকে নেই। এলসিও খোলা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ইফাদ হালদা নদীতে রেণু পোনার উন্নয়নে দুই বিলিয়ন ডলার ছাড় করেছে। এমন কাজ সামনে আরও করব। আইওএম অভিবাসন নিয়ে কাজ করে। প্রবাসীদের আনা-নেওয়ার কাজ করে তারা। সামনে এ ধরনের সহায়তা তারা অব্যাহত রাখবে।