সবজির দাম স্থিতিশীল হলেও এখনো চড়া; বাড়ছে ডিম, মুরগি ও মাছের দামও
রাজধানীর কাঁচাবাজারে ডিম, মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে। শাক-সবজি ও অন্যান্য পণ্যের দামও আগের মতোই চড়া রয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) কারওয়ান বাজার, মহাখালী, মালিবাগ ও হাতিরপুলসহ বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের সপ্তাহের তুলনায় ডিম, মুরগি ও মাছের দাম বেড়েছে।
এর আগে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় সারাদেশে ডিম ও মুরগির দাম বেড়ে যায়।
শুক্রবার প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্ম ডিমের দাম ২০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গৃহপালিত মুরগির ডিম প্রতি হালি (৪ পিস) ৭৫ থেকে ৮০ টাকা এবং হাঁসের ডিম প্রতি হালি ৭০ থেকে ৭৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে গত দুই সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগি ও সোনালী মুরগির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়েছে। আকার ও মান ভেদে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩৫ টাকায়। এ ছাড়া সোনালী মুরগির দামও বেড়েছে এবং আকার ও মান ভেদে কেজিপ্রতি ৩৪৫ থেকে ৩৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একইভাবে প্রতি কেজি কক মুরগি ৩৭০ থেকে ৩৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, দেশি মুরগি ৬৭০ থেকে ৭৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
সংশ্লিষ্ট খাতের ব্যবসায়ীরা জানান, মুরগির খাবার ও ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম বাড়ায় মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছে।
মান ভেদে শুক্রবার প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হয়েছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকায়। সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে কেজিপ্রতি দাম বেড়েছে ৩০ টাকা।
আর মান ভেদে প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১৮০ টাকায়, যা বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা।
শুক্রবার কারওয়ানবাজার মাছের বাজারে ৪৫০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৬৫০ টাকা এবং এক কেজি ওজনের ইলিশ ১,৮০০ থেকে ২,০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১,০০০ টাকায়।
অন্যান্য মাছের মধ্যে পুঁটি ও ছোট মাছ প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চাষের কই প্রতি কেজি ২৩০ থেকে ৩০০ টাকা, ফলি চান্দা (রূঁপচাদা) ১২০০ টাকা, বোয়াল মাছ ৬০০ থেকে ১২০০ টাকা, কোরাল মাছ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। নদীর পাঙ্গাস ৭০০ টাকা, পাঙ্গাস ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৫৫০ টাকা কেজি, মাঝারি আকারের কার্প (কাতল) ২৫০-৩০০ টাকা কেজি, বড় আকারের কাতল ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, মাগুর মাছ (শিং) ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা কেজি দরে চাষ করা হয়েছে। শিং ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, গলদা চিংড়ি ৯০০ থেকে ১১০০ টাকা কেজি এবং চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বিগত বছরগুলোর তুলনায় এবার সবজির দাম চড়া কিন্তু স্থিতিশীল রয়েছে। অন্যদিকে দাম বাড়ার জন্য মূল্যস্ফীতিকে দায়ী করেছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার প্রতি কেজি বেগুন, ঢেঁড়স, সজনে, বরবটি, করলাসহ সবজি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় অপরিবর্তিত ছিল।
অন্যদিকে মৌসুম শেষ হওয়ায় বেড়েছে টমেটোর দাম। ভালো মানের টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে।
বেগুনসহ অন্যান্য সবজি প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, লাউ, চালকুমড়া ও ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মান ভেদে দেশি পেঁয়াজ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, রসুন ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, আদা ২০০ থেকে ২৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
তরমুজের এই মৌসুমে ফলটির দাম কিছুটা বেড়েছে। আকারভেদে এ ফল ১২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং আনারস ৩০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
পেয়ারা ৫০ থেকে ৮০ টাকা, পেঁপে (পাকা) ১০০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীতে আপেল, মাল্টা, কমলা ও নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ২৬০ থেকে ৩৪০ টাকায়।
এ ছাড়া চাল, গম, আটা, দুধ, সয়াবিন, সুগন্ধি চালসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।