চিকন চাল ৪০৪ শতাংশ ও মোটা চাল ২৬০ শতাংশ বেশি দামে ভোক্তার কাছে বিক্রি হচ্ছে: ডিসিসিআই-এর গবেষণা
এক কেজি চিকন চাল উৎপাদকের কাছ থেকে যখন ভোক্তার কাছে পৌঁছাচ্ছে তখন এর দাম বেড়ে যাচ্ছে ৪০৪ শতাংশ। এভাবে মোটা চালের দামও খুচরা পর্যায়ে এসে দাঁড়ায় ২৬০ শতাংশে। উৎপাদনকারী, দুই ধাপের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার হাত ঘুরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে বলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) এক গবেষণায় উঠে এসেছে।
আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে 'ফুড ইনফ্লেশন এন অ্যানালাইসিস অন প্রাইস ডাইনামিক্স অব অ্যাসেনশিয়াল কমডিটিস' শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। এ গবেষণাটি উপস্থাপন করেন ডিসিসিআই-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি একেএম আসাদুজ্জামান পাটওয়ারী।
দেশের আট বিভাগে উৎপাদন খরচের তুলনায় কত বেশি খরচে ১৬টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে তা উঠে এসেছে এ গবেষণায়। দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা পণ্যের মূল্য কীভাবে ভোক্তা পর্যায়ে এসে বেড়ে যাচ্ছে তা উঠে এসেছে এ গবেষণায়।
দেখা গেছে, দেশে উৎপাদিত এক কেজি পেঁয়াজ ঢাকায় যে দামে বিক্রি হচ্ছে তা উৎপাদন খরচের তুলনায় ৩৬৫.১২ শতাংশ বেশি। একইভাবে আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৩২ শতাংশ, আলু ১৯০ শতাংশ, লবণ ২০০ শতাংশ, হলুদ ৩১৬ শতাংশ এবং শুকনা মরিচ ১১০ শতাংশ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
গবেষণায় বলা হয়, কাঁচামাল, শ্রমের মূল্য ও জ্বালানির দাম বেড়ে যাওয়া উৎপাদন খরচ, সাপ্লাইচেইনে অপর্যাপ্ত প্রতিযোগিতা, বাজারের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বাড়তি পরিবহণ খরচ, বাজার ব্যবস্থাপনার অদক্ষতা, অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, বাজার পর্যবেক্ষণের অভাবে সাপ্লাই চেইনের বেশকিছু জায়গায় অতিরিক্ত মার্জিন যোগ করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি আশরাফ আহমেদ বলেন, "আমাদেরকে বাজার অকার্যকারিতা, প্রাইস গ্যাপ কতখানি হচ্ছে সেটা কিন্তু আসলে দেখা দরকার। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কতটা হচ্ছে সেটার উপরও অনেক সময় দাম নির্ভর করে। যে কারণে আমাদের এখন প্রডাকশনের লাইভ ফোরকাষ্ট দরকার।"