রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে সহায়তা দেবে না সরকার
দেশের ব্যাংকিংখাতে সবচেয়ে বেশি মূলধন ঘাটতি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর। ঋণ ব্যবস্থাপনায় নানা অনিয়মের কারণে বেশি খেলাপি ও প্রভিশন রাখতে গিয়ে মূলধন সংকটে পরে প্রতিষ্ঠানগুলো। একারণে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় নতুন করে পুঁজি সরবরাহ করে ঘাটতি মেটানোর সংস্কৃতি থেকে বেড়িয়ে এসেছে সরকার।
প্রস্তাবিত বাজেটে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, জনগণের করের টাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসমূহে 'ক্যাপিটাল ইনজেকশন' এর মতো প্রথা দীর্ঘদিন দেশে প্রচলিত ছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংককে আমরা উৎসাহিত করছি তারা যেন নিজেদের ব্যবসায় মডেল নতুন করে সাজিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে। যার ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো ক্রমেই আত্মনির্ভরশীল হয়ে উঠছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অধিকাংশ সরকারি ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি কমে এসেছে কারণ তারা সরকারের পক্ষ থেকে ক্যাপিটাল ইনজেকশন এর সুবিধা চেয়ে না পাওয়ায় লাভের টাকা থেকে লভ্যাংশ না দিয়ে মূলধন হিসাবে সংরক্ষণ করছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যানুসারে, ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ১৭ হাজার ৩৩৯ কোটি টাকা, তিন মাস পর যা কমে ৮ হাজার ১৩৪ কোটি টাকায় নেমে আসে।
মুস্তফা কামাল বলেন, কোভিডকালে সরকারি খাতের ব্যাংকে মুনাফা অর্জিত না হলেও তাদের অর্থযোগান দিতে হয়নি।
তিনি আরও জানান, ব্যাংকখাত হতে বিগত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে করপোরেট কর আদায় হয়েছে প্রায় ৮ হাজার ৫০৯ কোটি টাকা । এছাড়াও আর্থিক ক্ষেত্রে যে সকল আইনি সংস্কারের উদ্যোগের কথা আমি বলেছি, সেগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে ব্যাংক খাতের ভিত্তি আরও মজবুত ও সুদৃঢ় হবে।