অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন চলতি বছরে নাও আসতে পারে
ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকা যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি চলতি বছরের শেষদিকে বাজারে আনার কথা থাকলেও এখন তা নিয়ে সন্দেহপোষণ করেছেন খোদ গবেষকরাই।
সোমবার চিকিৎসা সংক্রান্ত সাময়িকী 'ল্যানসেট' এ প্রকাশিত প্রাথমিক ফলাফলে তারা বলেছিল, প্রথম ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এ টিকা নিরাপদ এবং করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরিতে সক্ষম বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
চলতি বছরেই এটি বাজারে আনার বিষয়ে আশাপ্রকাশ করেছিল ভ্যাকসিনটির প্রস্তুতকারক কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকা।
তবে মঙ্গলবার বিবিসি রেডিওকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভ্যাকসিন উদ্ভাবক দলের প্রধান সারাহ গিলবার্ট বলেন, "ভ্যাকসিন চূড়ান্ত করার জন্য এ বছরের শেষদিককে লক্ষ্যে রাখা হয়েছে, এরমধ্যে তৈরি করে ফেলার সম্ভাবনাও রয়েছে তবে এটা নিশ্চিত না। কেননা আমাদের এখনো তিনটি কাজ সম্পন্ন করতে হবে।"
তিনি বলেন, পরবর্তী ট্রায়ালগুলোতে যে ভ্যাকসিনটি ঠিকভাবে কাজ করছে সেটি নিশ্চিত হতে হবে, এরপর সেটি প্রচুর পরিমাণে উত্পাদন করা প্রয়োজন হবে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষকে টিকা দেওয়ার আগে জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত এটিকে অনুমতি দিতে হবে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন বাজারে নিয়ে আসার সম্ভাব্য সময়সীমার বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন ইংল্যান্ডের প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা ক্রিস হুইট্টি।
তিনি বলেন, "ক্রিসমাসের আগেই একটা ভ্যাকসিন পেলে সেটা আমাদের জন্য খুবই কার্যকরী হত। তবে আমার দৃষ্টিতে সেটার সম্ভাবনা কম।"
সেপ্টেম্বরের মধ্যেই নিজেদের সম্ভাব্য এই ভ্যাকসিনের ১০ লাখ ডোজ বাজারে নিয়ে আসার বিষয়ে চোখ ছিল অক্সফোর্ডের বিজ্ঞানীদের। তবে যুক্তরাজ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটাই কমে যাওয়ার এখন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিজ্ঞানীরা। ভ্যাকসিনের শেষদিকের ট্রায়ালগুলি ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকাতে শুরু করেছেন তারা এবং যুক্তরাষ্ট্রেও শুরু করার প্রক্রিয়া চলছে।
এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসের অনুমোদিত কোনো ভ্যাকসিন বের হয়নি তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে অক্সফোর্ড এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই ভ্যাকসিনটি শীর্ষস্থানীয় সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলোর একটি।