অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকার সুরক্ষা নিয়ে অনুসন্ধানের পরিধি বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র
ব্রিটিশ-সুইস মালিকানার ওষুধ প্রস্তুতকারক অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিড-১৯ টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলাকালে- এতে অংশ নেওয়া এক স্বেচ্ছাসেবক গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হন। এঘটনায় প্রতিষেধকটির সুরক্ষা নিয়ে নিজস্ব অনুসন্ধানের পরিধি বাড়ানোর কথা জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ)।
ইউরোপীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এব্যাপারে তাদের পর্যালোচনার তারিখ চলতি সপ্তাহেই ঘোষণা করবে। তার আগেই এফডিএ- নিজ সিদ্ধান্তের কথা জানালো।
এফডিএ- আস্ট্রাজেনেকার টিকা গবেষণায় জড়িত বিজ্ঞানীদের তৈরি আগের ভ্যাকসিনগুলোর মানবদেহে প্রয়োগের ফলাফলও পরীক্ষা করবে। ইতোপূর্বে, নানা রোগের জীবাণুর বিরুদ্ধে তারা যেসব টিকা আবিষ্কার করেছেন, সেগুলোও ট্রায়ালের সময় মানবদেহে একই ধরনের উপসর্গ সৃষ্টি করেছিল কিনা- তা অনুসন্ধানেই এ পদক্ষেপ।
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির নির্ভরযোগ্য তিনটি সূত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এব্যাপারে নিশ্চিত করে।
তবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, তাদের তৈরি আগের ভ্যাকসিনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে সন্দিহান হয় নয়, বরং এসব অভিজ্ঞতা তাদের কোভিড টিকা তৈরিতে প্রভাব ফেলেছে কিনা-সেটাই খতিয়ে দেখা হবে।
'এফডিএ- শুধু টিকার সুরক্ষা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা লাভ করতে চায়' নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান।
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদন্তের কারণে- এপর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে অগ্রসর ভ্যাকসিন গবেষণা কিছুটা গতি হারাবে, বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর একজন স্বেচ্ছাসেবী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল স্থগিত রাখা হয়। যুক্তরাজ্যের ওই স্বেচ্ছাসেবীর মেরুদণ্ডে 'ট্রান্সভার্স মিলেটিস' নামক বিরল এক সমস্যা দেখা দেয়।
এরপর অবশ্য আবারও যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত এবং ব্রাজিলে ট্র্যায়ালটি পুনঃরায় সচল করা হয়েছে। তবে মার্কিন কর্তৃপক্ষ এখনও সেদেশে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল পুনঃসচলের সবুজ সংকেত দেননি।
ইতোপূর্বে, মার্কিন সরকার অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গবেষণায় ১২০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দেয়। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ৩০ কোটি ডোজ কেনার চুক্তি করা হয়েছে।
- সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার