আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর কান্দাহারের পতন ঘটালো তালেবান
আফগান পার্লামেন্টের সদস্য গুল আহমেদ কামিনের বরাত দিয়ে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, তালেবান যোদ্ধারা এবার আফগানিস্তানের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর কান্দাহার দখল করেছে।
জাতীয় রাজধানী কাবুলের দিকে তালেবানের বিদ্যুৎগতির সম্মুখ অভিযানের সময়েই পতন হলো কান্দাহারের।
আফগানিস্তানের দক্ষিণে অবস্থিত শহরটি ২০০১ সালে মার্কিন আগ্রাসনের আগে তালেবানের শক্ত ঘাঁটি ছিল। আর বিদেশি সেনারা চলে যাওয়ার পর থেকেই কার্যত কান্দাহারকে অবরুদ্ধ করে রাখে তালেবান। নগরীটির পতনের মাধ্যমে পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকারের বিলুপ্তির শুরু হলো বলেও মনে করছেন অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
আজ শুক্রবার (১৩ আগস্ট) দেওয়া বিবৃতিতে তালেবান জানায়, তাঁরা কান্দাহারের গভর্নরের কার্যালয়, পুলিশ সদর দপ্তর এবং শহরজুড়ে অবস্থিত অপারেশন সেন্টারগুলোর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, "শত শত অস্ত্র, যুদ্ধযান ও বিপুল গোলাবারুদ কব্জা করেছি আমরা।"
আফগান আইনপ্রণেতা কামিন জানান, তিনিসহ আরও অনেকে কান্দাহার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিতে আশ্রয় নিয়েছেন। এখান থেকে তাদের বিমানে করে কাবুলে নিয়ে যাওয়া হবে।
"অধিকাংশ সরকারি সেনা আত্মসমর্পণ করেছে, আর বাকিরা পালিয়ে গেছে," কামিন বলেন।
এর আগে তিনি সিএনএন'কে জানান যে, তালেবান যোদ্ধারা আফগান বাহিনীর সম্মুখভাগের প্রতিরোধ ভেদ করে ঢুকে পড়েছে; এখন শহরের ভেতর সরকারি বাহিনীর সঙ্গে তাদের বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ চলছে।
এর ঘণ্টাখানেক পর তিনি তালেবানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে তিনটি প্রধান মহাসড়কের সংযোগস্থলে অবস্থিত কান্দাহারের কৌশলগত গুরুত্ব অনেক। ঠিক এ কারণেই মার্কিন সেনাবাহিনীর অভিযান পরিচালনায় কান্দাহারকে অন্যতম প্রধান ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হতো। এপর্যন্ত তালেবানের সবচেয়ে বড় জয় এলো কান্দাহার দখলের মধ্য দিয়েই।
আর মোট ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর মধ্যে এপর্যন্ত ১৪টি দখল করেছে তালেবান। তবে গ্রামীণ অঞ্চলের অধিকাংশই তালেবানের নিয়ন্ত্রণে, সরকারি বাহিনী শহরগুলোকে রক্ষা করতেই বেশি সচেষ্ট হলেও- সেখানেও তাদের ব্যর্থতা স্পষ্ট হচ্ছে প্রতিদিন।
- সূত্র: সিএনএন