উইঘুর সম্প্রদায়ের নজরদারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে হুয়াওয়ের সাথে সম্পর্কচ্ছেদ গ্রিজম্যানের
চীনের উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের শনাক্তকরণের জন্য হুয়াওয়ে নতুন প্রযুক্তি তৈরি করেছে এমন অভিযোগের কারণে প্রতিষ্ঠানটির সাথে চুক্তি বাতিল করেছেন ফ্রান্স ও বার্সেলোনার ফুটবল তারকা আন্তোনিও গ্রিজম্যান।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইপিভিএম এর হুয়াওয়ে উইঘুর সম্প্রদায়ের সদস্যদের শনাক্তরণে সফটওয়্যার তৈরি করেছে এসংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় দ্য ওয়াশিংটন পোস্টে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো ব্যক্তির বয়স, লিঙ্গ ও জাতিসত্ত্বা নির্ধারণে সক্ষম এমন শনাক্তকরণ প্রযুক্তি তৈরি করেছে হুয়াওয়ে।
প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পরই ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী এ খেলোয়াড় হুয়াওয়ের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেন।
তার ইনস্টাগ্রামে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "ফেসিয়াল রিকগনিশন সফটওয়্যার ব্যবহার করে 'উইঘুর এলার্ট' তৈরি করেছে এমন সন্দেহের জেরে আমি তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিষ্ঠানটির সাথে আমার অংশদারিত্ব শেষ করছি।
"সেইসাথে অভিযোগ অস্বীকার করেই ক্ষান্তি না দিয়ে এই নিপীড়নের নিন্দা জানানো এবং যতো দ্রুত সম্ভব সমাজে সকলের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নিজেদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে হুয়াওয়ে-কে কাজ শুরু করার আহ্বান জানাচ্ছি।" জানান গ্রিজম্যান।
কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক প্রতিষ্ঠান মেগভির ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি এ পদ্ধতির সত্যতা নিশ্চিত করেছে হুয়াওয়ে, তবে এটি শুধুই পরীক্ষামূলক কার্যক্রম ছিল এবং বাস্তবে ব্যবহারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।
মেগভির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন নির্দিষ্ট কোনো জাতিসত্ত্বাকে চিহ্নিতকরণের লক্ষ্যে এ প্রযুক্তি তৈরি করা হয়নি।
গ্রিজম্যানই উইঘুর মুসলমানদের নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো প্রথম ফুটবল তারকা নন।
ইতোপূর্বে আর্সেনালের মিডফিল্ডার মেসুত ওজিলও উইঘুর নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে চীনের সমালোচনা করেছেন। তার মন্তব্যের পরই ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের গণমাধ্যমগুলোতে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে আর্সেনালের প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়।
- সূত্র: ইনডিপেনডেন্ট ইউকে