এক সপ্তাহে ৪৪শ’ কোটি ডলার হারালেন শীর্ষ ধনীরা
বিশ্বের প্রযুক্তিখাতের ব্যবসায়ী এবং শীর্ষ ধনীদের মোট সম্পদমূল্য ৪৪শ' কোটি ডলার কমেছে এক সপ্তাহের ব্যবধানে। পুঁজিবাজারে তাদের মালিকানায় থাকা শেয়ারের দরপতন এজন্য দায়ি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুসারে সবচেয়ে বেশি কমেছে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের সম্পদের পরিমাণ। ফলে ৯শ' কোটি ডলার হারিয়েছেন তিনি।
এলন মাস্ক ও মার্ক জুকারবার্গের মোট সম্পত্তির পরিমাণ কমেছে যথাক্রমে; ৮৫০ ও ৪২০ কোটি ডলার। এদিকে বিল গেটসের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২৯০ কোটি ডলার কমেছে।
মাস্ক, জুকারবার্গ এবং গেটস তিনজনই ১০ হাজার কোটি ডলার সম্পদমূল্যের অধিকারী সেন্টিবিলিয়নিয়ারদের কাতারে পড়েন। বাজারমূল্য পতনের সুবাদে যা হারিয়েছেন সেটা তাদের মোট সম্পদের ভগ্নাংশ মাত্র। যেমন; পৃথিবীর শীর্ষ ধনী বেজোসের মোট সম্পদ ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি। তিনি এখান থেকে হারিয়েছেন সাড়ে ৪ শতাংশের মতো।
২০২০ সালটা বৃহৎ প্রযুক্তি উদ্যোগগুলোর জন্য ছিল অত্যন্ত সুসময়। মহামারিতে সবকিছু যখন বন্ধ, তখন আরও বেশি গ্রাহকের ভিড় বাড়ে অনলাইনে। ভার্চুয়াল মাধ্যমে খুচরা পণ্য ক্রয় এবং পরিষেবা অর্ডারের পরিমাণও বাড়ে আশাপ্রদভাবে। ফলে মার্কিন পুঁজিবাজারে অতিস্ফীতি লাভ করে শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির বাজারদর। একারণেই অনেক বিনিয়োগকারী তাদের হাতে থাকা কিছু শেয়ার ছেড়ে দেন ভালো মুনাফার আশায়। বিক্রিবাট্টার এ জোয়ারেই মার্কিন বাজারের ডাউ সূচক গত বৃহস্পতিবার ৭৪০ পয়েন্ট হারায়। টানা ১১ দিন ধরে অতি-উচ্চ অবস্থানে থাকার পর প্রযুক্তি শেয়ার এ আংশিক এ মূল্য সংকোচন প্রত্যক্ষ করে।
তবে তারপরও বিশ্বের শীর্ষ ১০ ধনীর মট সম্পদমূল্য ৮৩ হাজার কোটি ডলার। বেজোসের সাবেক স্ত্রী ম্যাকেঞ্জি স্কটও পুঁজিবাজারে অ্যামাজনের দর কমায় ৩২০ কোটি ডলার হারিয়েছেন। ২০১৯ সালে বেজোসের সঙ্গে বিবাগ বিচ্ছেদের পর এখন তিনিই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী। আর শীর্ষ ধনীদের মধ্যে তার অবস্থান ১২তম।
মহামারি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পদের বৈষম্যকে আরও স্পষ্ট করে তুলেছে। সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব অনুযায়ী, প্রতি ৫ জনে ১ জন আমেরিকান নাগরিক বাসস্থান থেকে ভাড়া বাকি পড়ায় উচ্ছেদের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া, বিনামূল্যে খাবার পেতে ফুড ব্যাংকের চাহিদাও বাড়ছে প্রতিনিয়ত।