করোনা মহামারি প্রসূতি নারীর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়িয়েছে
পৃথিবীব্যাপী উন্নয়নশীল দেশগুলোতে যেভাবে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সংস্থাটির মহাপরিচালকের মতে, এর ফলে পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর প্রচণ্ড চাপ তৈরি হওয়ায়, নির্দিষ্ট কিছু জনগোষ্ঠীর মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে সন্তান জন্মদানের সময় প্রসূতি নারীদের মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রেয়াসুস।
সংবাদ সম্মেলনে গেব্রেয়াসুস বলেন, উন্নয়নশীল দেশে করোনার সংক্রমণ আমাদের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে, এসব দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ যথাযথ স্বাস্থ্য সেবার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। নারী, শিশু-কিশোরেরা যাদের মধ্যে অন্যতম। মূল চিন্তাটা তাদের জীবনের সুরক্ষা নিয়েই। চলমান মহামারিতে এসব লোকজন ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, বিশ্বের অনেক দেশেই স্বাস্থ্যখাতকে প্রচণ্ড চাপের সম্মুখীন করেছে কোভিড-১৯। অনেক হাসপাতাল এবং প্রচলিত স্বাস্থ্য সেবার অন্যান্য কেন্দ্রকে করোনা চিকিৎসার জন্য রূপান্তরিত করা হচ্ছে। এর ফলে সন্তান জন্মদানকালীন সময়ে প্রসূতিদের মৃত্যুর ঝুঁকি সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে সতর্ক করেন তিনি।
ইতোমধ্যেই আক্রান্ত মায়েদের থেকে নবজাতক শিশুর দেহে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসন্ধান করে দেখেছে বলে জানান ডব্লিউএইচও প্রধান। এই অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সংক্রমণের ঝুঁকির চাইতে শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধপানের উপকারিতাই বেশি।
তিনি আরও বলেন, মহামারির অচলাবস্থার মধ্যে তরুণেরা শঙ্কা ও বিষণ্ণতায় ভুগছেন। এই বিষয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে কিছু দেশে লকডাউনের আগে এক-তৃতীয়াংশ তরুণ শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে গিয়ে তাদের মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার বিষয়ে শিক্ষকদের পরামর্শ পেতো। যা এখন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে।