জনসনের কোভিড টিকা ব্যবহারে বিধিনিষেধ দেবে না জার্মানি
জনসন অ্যান্ড জনসন (জেঅ্যান্ডজে ) আবিষ্কৃত কোভিড টিকা ব্যবহারের ওপর কোনো প্রকার বিধিনিষেধ আরোপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি। আজ শুক্রবার (২৩ এপ্রিল) দেশটির প্রতিষেধক নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রধান জানান, আগামী সপ্তাহে নতুন তথ্য পর্যালোচনা করার পর বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল এটির প্রয়োগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
টিকাটি নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক ব্যক্তির রক্ত জমাট বাঁধার বিরল ঘটনা পরীক্ষা করে চলতি সপ্তাহেই ইউরোপিয় ইউনিয়নের ওষুধ প্রশাসন জেঅ্যান্ডজে টিকার প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করে। এরপরও, কোনো ওষুধের ব্যবহার নিয়ে ইইউ সদস্য দেশগুলোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।
রক্ত জমাটের ঝুঁকি এড়াতে ইতোপূর্বে, স্টিকো (STIKO) নামে পরিচিত জার্মানির ভ্যাকসিন কমিটি যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি- শুধুমাত্র তাদেরকেই অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এব্যাপারে পল এহরলিক ইনস্টিটিউটের প্রধান ক্লাউস চিচুটেক জানান, জনসনের কোভিড টিকা নিরাপদ ও কার্যকর, তাছাড়া অ্যাস্ট্রাজেনেকার তুলনায় জনসন ভ্যাকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ১০ গুণ কম, এক কথায় কদাচিৎ এমন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বৃহস্পতিবার জেঅ্যান্ডজে টিকার তথ্য পর্যালোচনা করতে এক বৈঠকে মিলিত হন ক্লাউস-সহ স্টিকোর অন্যান্য সদস্যরা। তিনি জানান, ওই তথ্যে তারা এটির ব্যবহার সীমিত করার মতো গুরুতর কোনো বিষয় লক্ষ্য করেননি।
"আগামী সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে টিকাদানের নতুন তথ্যের ভিত্তিতে পুনরায় পর্যালোচনা করতে স্টিকো আরেকটি বৈঠক ডেকেছে," বার্লিনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন।
ইতোপূর্বে, ইইউ নিয়ামক সংস্থা ইএমএ যুক্তরাষ্ট্রে ৬০ বছরের কম বয়সী ৮ জনের দেহে জনসন টিকা নেওয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা পরীক্ষা করে। টিকাগ্রহণের তিন সপ্তাহের মধ্যে শারীরিক এই প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্তদের সিংহভাগই ছিলেন নারী। যুক্তরাষ্ট্রে ৭০ লাখের বেশি জনসন টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে সীমিত এই সংখ্যকের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার রিপোর্ট এসেছে।
জনসন টিকার করোনার নতুন অভিযোজিত ধরন মোকাবিলার ক্ষমতা থাকায় ইইউ একে সহজে অবজ্ঞা করতে পারছে না বরং টিকাদানে গতি আনতে এবং সংক্রমণের সাম্প্রতিক সংখ্যা বৃদ্ধি রুখতে অনেক দেশ এর উপর নির্ভর করছে।
- সূত্র: রয়টার্স