জ্বালানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের রূপরেখা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ঐক্যমত্য
ইরানের জ্বালানিসহ শিল্পের বেশ কিছু খাতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে এক রূপরেখা নিয়ে ঐক্যমত্য পোষণ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের আলোচকগণ। তবে একথা জানানোর পাশাপাশি তেহরান হুঁশিয়ার করে বলেছে, ২০১৫ সালের পরমাণু সমঝোতায় বিশ্ব শক্তিদের ফিরে আসার ক্ষেত্রে 'খুব অল্প সময়ই বাকি আছে।' এর মাধ্যমে নিজেদের পরমাণু কর্মসূচির অগ্রগতি নিয়েও পশ্চিমা শক্তিগুলোকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিল দেশটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সাম্প্রতিক সমঝোতার বিষয়টি প্রথম জানান ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খতিবজাদেহ। যদিও তিনি মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা শিথিলের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাননি। এ নিষেধাজ্ঞার কারণে ইরানের তেল রপ্তানি কার্যত বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি দেশটির অর্থনীতি শোচনীয় অবস্থায় পড়েছে।
তবে সোমবার (১৪জুন) খতিবজাদেহ বলেছেন, রূপরেখা নিয়ে ঐক্যমত্য হলেও এখনও বেশ কিছু ব্যাপারে দ্বিমত থাকায় যুগান্তকারী চুক্তিটি স্বাক্ষরে বিলম্ব হচ্ছে। "কিছু প্রায়োগিক, রাজনৈতিক, আইনি ও বাস্তবমুখী মতভেদের সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। তবে আশার কথা হলো; এসব ব্যাপারে সুরাহা আলোচনার মাধ্যমে সম্ভব এবং এখন পর্যন্ত কোনো অচলাবস্থা তৈরি হয়নি।"
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের কূটনৈতিকরা অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় এ আলোচনা করছেন। সামগ্রিক অগ্রগতির ওপর তীক্ষ্ম নজর রাখছেন আন্তর্জাতিক তেল বাজার বিশেষজ্ঞরা। ওপেক সদস্য ইরান এ সমঝোতা থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল রপ্তানির ছাড়পত্র পাবে কিনা এবং পেলেও ওয়াশিংটন কত দ্রুত তেহরানকে উৎপাদন বৃদ্ধি শুরু করতে দেবে- তার ইঙ্গিত পাওয়া যাবে চূড়ান্ত সমঝোতার ভিত্তিতে।
এদিকে স্থানীয় সময় ৮.৫০ ঘটিকা নাগাদ লন্ডনের বাজারে ব্রেন্ট ক্রুডের সূচক ১ শতাংশ বেড়ে ব্যারেল প্রতি দাম ৭৩.৪৩ ডলারে উন্নীত হয়। তবে ভিয়েনা আলোচনায় দেরির কারণে জ্বালানি স্টক লেনদেনকারীরা ইরানের তেল রপ্তানির পূর্বাভাস আরও পিছিয়ে দিয়েছেন।
এর আগে শনিবার ভিয়েনায় ইরানের প্রধান কূটনৈতিক দূত আব্বাস আরাগচি নিজেও তেমন ইঙ্গিত দিয়ে বলেছেন, আগামী শুক্রবার তার দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শেষ হওয়ার আগে উভয়পক্ষের মধ্যে চূড়ান্ত চুক্তি নিয়ে ঐক্যমত্যের সম্ভাবনা নেই।
- সূত্র: ব্লুমবার্গ