দিল্লি থমথমে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৭
ভারতের উত্তর-পূর্ব দিল্লির জাফরাবাদ অঞ্চলে সিএএ কেন্দ্রিক আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় এ পর্যন্ত ২৭ জন নিহত হয়েছেন। এই তথ্য প্রকাশ করেছে গুরু তেগবাহাদুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সহিংসতার জেরে আহত হয়েছেন অন্তত ১৯০ জন।
সহিংসতা বন্ধের দাবিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাসভবন ঘেরাও করেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সরাতে জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। এরপর বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়া হয় সিভিল লাইনস থানায়। তবে বুধবার সকালে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাদের। খবর এনডিটিভি ও হিন্দুস্তান টাইমসের।
জামিয়া কো-অর্ডিনেশন কমিটি (জেসিসি) এবং অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন অব জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া (এএজেএমআই) মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ঘেরাওয়ের ডাক দেয় বলে জানা গেছে। ভোর সাড়ে তিনটায় তাদের হঠাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে। এ সময়েই গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার রাতে দিল্লি পুলিশ প্রধান অমূল্য পট্টনায়েকের সঙ্গে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। এর আগে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ডিসিপি বেদ প্রকাশ সূর্যের সীলামপুর দপ্তরে বৈঠক করেন তারা। রাতে শীর্ষ স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে জাফরাবাদ, গোকুলপুরী, মৌজপুর ও ভজনপুরের মতো আক্রান্ত এলাকা ঘুরে দেখেন অজিত ডোভাল।
সিএএ বিরোধী প্রতিবাদ অবস্থান রাতেই জাফরাবাদ মেট্রো স্টেশন ও মৌজপুর চওক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় ফাঁকা হয়ে যায় ফুটা রোড অঞ্চল। এই খবর জানিয়েছেন দিল্লির স্পেশাল কমনিশনার সতীশ গোলচা।
বুধবার সকালে উত্তপ্ত এলাকার রাস্তাঘাট জনশূন্য ও থমথমে দেখা গেছে। বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পুরো এলাকায়।