নন্দীগ্রামে হেরেও মমতা যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন
রোববার পশ্চিমবাংলার ২৯২টি আসনে পর পর ফল প্রকাশিত হলেও, নন্দীগ্রাম ঘিরে দুপুর থেকেই দেখা দেয় বিভ্রান্তি। ১৭ রাউন্ড ভোটগণনার পর সেখানে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জয়ী হয়েছেন বলে খবর আসছিল। কিন্তু সন্ধ্যা গড়াতে মমতার জয় নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
তার পরেই শুভেন্দু অধিকারীর জয়ের খবর আসে। সাংবাদিক বৈঠকে নন্দীগ্রামে হেরে গিয়েছেন বলে জানান মমতাও। তিনি বলেন, ''নন্দীগ্রাম যা রায় দেব, মাথা পেতে নেব।''
এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রিটার্নিং অফিসার। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব একথাও জানান আনন্দবাজারকে। তারপর, শুভেন্দুই জয়ী হয়েছেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
তবে নিজ দলের জয়ের পরও নন্দীগ্রাম মমতার জন্য ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বিধানসভায় সদস্যপদ হারিয়ে এবার তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন কিনা- সেই প্রশ্ন উঠছে।
এব্যাপারে ভারতীয় নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইট সূত্রে জানা যায়, মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য কোনো ব্যক্তির বয়স অবশ্যই ২৫ বা তার বেশি হতে হবে। ভারতীয় নাগরিকত্বও একটি মূল শর্ত। পাশাপাশি থাকা চাই রাজ্য আইনসভায় নির্বাচিত সদস্যপদ। তবে কেউ বিধানসভার আসনে নির্বাচিত না হলেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবেন, সেক্ষেত্রে দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই একটি আসন থেকে তাকে নির্বাচিত হতে হবে। জয় না পেলে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হবে।
এক্ষেত্রে, মমতার সামনে একটি বড় সুযোগ খড়দহ আসন। এই আসনে তৃণমুলের এক প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, তবে ফল ঘোষণার আগেই তিনি কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এই আসনেই উপ-নির্বাচন দিয়ে বিধানসভায় নিজের হারানো পদ ফিরে পাওয়ার সুযোগ পাবেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। আর সেখানেও তার জয় নিশ্চিত না হলে আইন অনুসারে তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।