বাইডেনের হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্র পরমাণু চুক্তিতে ফিরবে, আশা রুহানির
যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দেশটিকে পুনরায় তেহরান স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তিতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে তিনি বলেন "যদি ওয়াশিংটন ২০১৫-র পরমাণু চুক্তিতে ফেরে, তাহলে আমরাও চুক্তিতে দেওয়া সব প্রতিশ্রুতির প্রতি পুরোপুরি শ্রদ্ধাশীল থাকবো।"
যার হাত ধরে যুক্তরাষ্ট্র ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রসঙ্গে রুহানি বলেন, "আজ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষ; ইরানের উপর তার 'সর্বোচ্চ চাপের' নীতিও পুরোপুরিই ব্যর্থ হয়েছে।"
পরমাণু চুক্তিতে কী ছিল?
২০১৫ সালে ইরান বিশ্বের ছয়টি পরাশক্তির সঙ্গে তার পরমাণু কর্মসূচি সংক্রান্ত একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তিতে আসতে সম্মত হয়। যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া, অর্থাৎ পি ফাইভ প্লাস ওয়ান নামে পরিচিত পরাশক্তিগুলি ছিল এই চুক্তির অংশীদার।
দেশটি তার পরমাণু কর্মসূচি বৃদ্ধি করায় কয়েক বছর ধরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। যদিও ইরান তার কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ বলে দাবি করে আসছিল, কিন্তু তা বিশ্বাস করেনি বিশ্বের পরাশক্তিগুলো।
২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই পারমাণবিক চুক্তি থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। একই সাথে ইরানের উপর পারমাণবিক এবং অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণাও দিয়েছেন মি: ট্রাম্প।
জো বাইডেনের পদক্ষেপ
আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া বাইডেন এর আগে তেহরান চুক্তিতে দেওয়া সব শর্ত কঠোরভাবে মেনে চললে পরমাণু চুক্তিতে ফেরার আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
তাছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে তিনি ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পক্ষের যে পরমাণু চুক্তি হয়েছিল তাতে আমেরিকাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবেন।
চুক্তিটি 'শক্তিশালী ও বিস্তৃত করতে এবং ইরানের অন্যান্য অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আরও কার্যকর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যে' পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে কাজ করারও ইচ্ছা আছে এ ডেমোক্র্যাটের।