রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় এবার জনসনের ভ্যাকসিন নিয়ে তদন্ত করছে ইউরোপের নিয়ন্ত্রক সংস্থা
জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানির (জেঅ্যান্ডজে )আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন নেওয়ার পর চার ব্যক্তির দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটেছে। মারাও গেছেন একজন। এটি টিকারই কোনো বিরূপ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কিনা- তা অনুসন্ধান করছে ইউরোপের কিছু দেশের ওষুধ প্রশাসন।
তদন্তের অগ্রভাগে আছে ইউরোপিয় ইউনিয়নের নিয়ামক সংস্থা- ইউরোপিয়ান মেডিসিন্স এজেন্সি (ইএমএ)। সংস্থার ঝুঁকি পর্যালোচনা কমিটি গত শুক্রবার জানায়, যুক্তরাষ্ট্রে টিকাটি নেওয়া তিন জনের দেহে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা ঘটে। এর আগে, মানবদেহে পরীক্ষা চলাকালে আরেক স্বেচ্ছাসেবীর মধ্যেও একই ঘটনা লক্ষ্য করা যায়। জনসন ভ্যাকসিনের কারণেই রক্ত দানা বাঁধে কিনা- সেটি এখনও স্পষ্ট নয়।
এর প্রতিক্রিয়ায় জেঅ্যান্ডজে'র পক্ষ থেকে জানানো হয়, টিকাদান ও ট্রায়ালের সাম্প্রতিকতম যেসব তথ্য তাদের হাতে আসছে- সেগুলো তারা নিয়ামক সংস্থা এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে মিলে বিশ্লেষণ করছে। এপর্যন্ত করা বিশ্লেষণে খুব অল্প সংখ্যক কিছু ঘটনায় পাওয়া গেছে এমন অতি-বিরল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার নজির।
ইউরোপের বিভিন্ন দেশ যখন জনসন ভ্যাকসিনকে তাদের জাতীয় টিকা কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার কথা ভাবা শুরু করেছিল- তার মধ্যেই তদন্ত শুরু হলো। এর আগে গত ১১ মার্চ ইউরোপিয় ইউনিয়নে ভ্যাকসিনটিকে অনুমোদন দিতে সুপারিশ করেছিল ইএমএ। যদিও, এটির বিতরণ শুরু হয়নি।
টিকাটি দেওয়া হয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রে, সেখানে ৪৯ লাখ নাগরিককে এটির ডোজ ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে মার্কিন রোগ প্রতিরোধ কেন্দ্র-সিডিসি।
রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় দ্বিতীয় অনুসন্ধান:
ইতোমধ্যেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা আবিষ্কৃত আরেকটি ভ্যাকসিনের কারণে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা অনুসন্ধান করছে ইএমএ।
গত বুধবার নিয়ামক সংস্থাটি জানায়, অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের অতি-বিরল পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। গত ৪ এপ্রিল নাগাদ ১৬৯ জন টিকাগ্রহীতার মস্তিকে ও ৫৩ জনের প্লীহায় জমাট বাঁধার ঘটনা শনাক্ত হয়েছে।
তাছাড়া, একই রকম লক্ষণ ধরা পড়েছে মডার্না ও ফাইজার আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন নেওয়াদের মধ্যেও।
- সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার