শান্তি আলোচনা শুরুর লক্ষ্যে ৪০০ তালেবান বন্দিকে মুক্তির ঘোষণা
তালেবানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা শুরুর স্বার্থে বিদ্রোহী গোষ্ঠীটির ৪০০ কট্টর সদস্যকে মুক্তি দিতে রাজি হয়েছে, পশ্চিমা সমর্থিত আফগান সরকার। বিগত ১৯ বছরের যুদ্ধ ও সংঘাত অবসানে এ আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
আগামী নভেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। যে কারণে দেশটিতে মোতায়েন মার্কিন সেনাদের দেশে ফিরিয়ে এনে নিজের গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি করতে চান মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। এজন্য কাবুল সরকারের উপর তালেবান বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসার চাপ বৃদ্ধি করেছেন তিনি।
আজ রোববার (৯ আগস্ট) এ চাপের মুখেই আফগানিস্তানের তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধি পরিষদ- লয়া জিরগা'র সদস্যরা আলোচিত সংখ্যক বন্দীদের মুক্তিদানে সম্মত হয়। শান্তি আলোচনায় অংশ নেওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে তালেবান গোষ্ঠী- আফগান সরকারের হাতে আটক তার সদস্য ও যোদ্ধাদের মুক্তিদানের এ শর্ত দিয়েছিল। খবর রয়টার্সের।
বন্দিমুক্তির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়, ''শান্তি আলোচোনা শুরুর পথে অন্যতম একটি বাঁধা অপসারণ করা হয়েছে। শান্তি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের অবসান ঘটনার লক্ষ্যেই লয়া জিরগা ৪০০ তালেবান বন্দিমুক্তি অনুমোদন করে।''
লয়া জিরগার নেওয়া সিদ্ধান্ত ঘোষণার কয়েক মিনিট পর আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি জানান, ''আজকেই আমি ৪০০ বন্দিকে মুক্তি দেওয়ার আদেশে স্বাক্ষর করব।''
এর আগে গত সপ্তাহে প্রায় ৩২শ' আফগান উপজাতি নেতা এবং রাজনীতিবিদদের কাবুলে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানান আশরাফ ঘানি। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে অনুষ্ঠিত আলোচনায় কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যে তালেবান যুদ্ধ বন্দীদের মুক্তি দেওয়া উচিৎ হবে কিনা- সে বিষয়ে স্থানীয় নেতাদের পরামর্শ চান আফগান রাষ্ট্রপতি।
এরপরই জানানো হয় আজকের বৈঠকের সিদ্ধান্তটি । এর মধ্য দিয়ে প্রতিশ্রুত ৫ হাজার তালেবান বন্দির মুক্তি প্রক্রিয়া শুরু হলো।
চলতি সপ্তাহেই কাতারের রাজধানী দোহায় যুদ্ধরত তালেবান এবং আফগান সরকার আলোচনা শুরু করবে, বলে পশ্চিমা কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে। এ আলোচনার আগে কট্টর ইসলামি শাসন কায়েমের জন্য লড়াইরত তালেবানের প্রতি পূর্ণ যুদ্ধবিরতি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন আশরাফ ঘানি।