সাত শতাধিক শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের ওনেওন্টা ক্যাম্পাসের কয়েক শত শিক্ষার্থী কোভিড-১৯ আক্রান্ত হওয়ার ঘটনায় পদত্যাগ করেছেন প্রেসিডেন্ট বারবারা জিন মরিস।
নতুন প্রেসিডেন্ট ঘোষণার বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির চ্যান্সেলর জিম মালাট্রাস জানান, ড. বারবারা জিন মরিস ব্যক্তিগত কারণে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন।
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বন্ধ থাকার পর, ১৭ আগস্ট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত ৭১২ শিক্ষার্থীর শরীরে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এই সংখ্যা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি সব ক্যাম্পাসে মোট আক্রান্তের অর্ধেকেরও বেশি। বাকি ৬১টি ক্যাম্পাসে মোট আক্রান্ত ১১৬৭ জন।
স্টেট ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্কের মুখপাত্র জিম আরসো বলেন, 'সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে কোভিডের প্রকোপ বাড়ছিল। আমরা জানাতে চাই, ড. বারবারা এই সময়ের মধ্যভাগে হঠাৎ পদত্যাগ করেননি। ব্যাপারটি এমন নয় যে, শিক্ষার্থীরা পজিটিভ শনাক্ত হওয়ার পর তিনি রাতারাতি পদত্যাগ করেছেন।'
আবাসিক হল খুলে দেওয়ার পর শিক্ষার্থীদের টেস্টিং ও কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরপরই তার পদত্যাগের ঘোষণা আসে। বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই শনাক্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে কঠোর নীতি প্রণয়নের আগেই ছড়িয়ে পড়ে প্রাদুর্ভাব।
জিম আরসো বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় পুনরায় খুলে দেওয়ার পরিকল্পনায় বেশ কিছু ঘাটতি ছিল। চ্যান্সেলরও এই সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়েছেন।'
ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডেনিস ক্রেইগ।
এরিন কেনি নামে একজন শিক্ষার্থী জানান, তিনি আশা করেছিলেন কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কার্যকর ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, 'এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রেসিডেন্ট মরিসের আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। ক্লাস শুরু হওয়ার আগে টেস্টিং প্রয়োজন। আমার বোন পড়ে প্লাটসবার্গ ক্যাম্পাসে; সেখানে টেস্টিং বাধ্যতামূলক ছিল।'
সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারেও তেমন নিষেধাজ্ঞা ছিল না বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের অসচেতনতাকেও দায়ী করে এরিন বলেন, 'মাস্ক পরে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখলেই সংক্রমণ অনেকাংশে কম হতো।'
- সূত্র: সিএনএন