হাইতিতে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাত, নিহত তিন শতাধিক
ক্যারিবীয় অঞ্চলের দ্বীপ দেশ হাইতিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া, আহত হয়েছেন এক হাজার ৮০০ জনের বেশি মানুষ।
শনিবার সকালে দেশের পশ্চিমাঞ্চলে ৭.২ মাত্রার শক্তিশালী এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পে গির্জা ও হোটেলসহ বিভিন্ন বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হাইতির প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি ইতোমধ্যে দেশে মাসব্যাপী জরুরি অবস্থার ঘোষণা করেছেন। ভূমিকম্পে 'ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি' হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) মতে, সেইন্ট-লুইস দু সাদ থেকে ১২ কিলোমিটার (৭.৫ মাইল) দূরে ছিল ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল।
১২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জনবহুল শহর পোর্ট-অউ-প্রিন্স এবং প্রতিবেশি দেশসমূহের ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
উদ্ধার কাজের জন্য বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী অ্যারিয়েল হেনরি বলেন, "ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক জীবিতদের উদ্ধার করাই এখন সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ।"
তিনি আরও বলেন, "স্থানীয় হাসপাতাল বিশেষত লে কায়ের হাসপাতালগুলো আহত, ফ্র্যাকচার হওয়া মানুষে ভরে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।"
প্রধানমন্ত্রী বিমানযোগে কায়ে শহর পরিদর্শন করেছেন বলেও জানা গেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে হাইতিকে 'তাৎক্ষণিক সহায়তা' পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ক্ষয়ক্ষতির মূল্যায়ন, আহতদের উদ্ধার এবং পুনর্গঠনে মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএইড সাহায্য করবে বলেও জানান তিনি।
২০১০ সালে ৭ মাত্রার বিধ্বংসী ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি দেশটি এখন পর্যন্ত কাটিয়ে উঠতে পারেনি।
ভূমিকম্পে হাইতির দুই লাখের বেশি মানুষ নিহত হন। দেশটির অবকাঠামোগত অবস্থা ভেঙে পড়ে এবং অর্থনীতি গভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- সূত্র: বিবিসি