নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ইউরোপে নববর্ষের আতশবাজি, হতাহতের ঘটনা
নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও আতশবাজি ফাটিয়ে নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। আর এ ঘটনায় বিস্ফোরণ ও আগুন লেগে তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসে ১২ বছর বয়সী এক বালকের মৃত্যু হয়েছে আতশবাজির আগুনে। এছাড়া, বিশৃঙ্খলার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করেছে ডাচ পুলিশ।
জার্মানির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর হেনেফে ইংরেজি নববর্ষের প্রথম প্রহরে আতশবাজি বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন ৩৭ বছর বয়সী আরেক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে পুলিশি তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
জার্মান বার্তাসংস্থা ডিপিএ অনুসারে, জার্মানির বিভিন্ন জায়গায় আতশবাজি ফাটানোর ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
এদিকে সংবাদসংস্থা ডি টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসে আতশবাজির আগুনে অন্তত ৮০ জন আহত হয়েছেন; বিস্ফোরণে পা ও হাত হারিয়েছেন অনেকে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে নববর্ষ উদযাপনে আতশবাজি বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও উভয় দেশের একদল উৎসাহী জনতা অবৈধভাবে আতশবাজি সংগ্রহ করেন; আবার আনেকে বাসায় নিজেদের তৈরি আতশবাজি ফাটিয়ে হতাহতের মুখে পড়েন।
ডাচ কর্মকর্তারা বলছেন, মহামারির মধ্যে অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা হাসপাতালগুলোর ওপর অতিরিক্ত চাপ ফেলছে।
অস্ট্রিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানেও আতশবাজি জনিত হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২৩ বছর বয়সী এক যুবকের নিহত হওয়ার খবর এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।
- সূত্র: বিবিসি