টিকা নেননি! তবু যেতে পারবেন এই ৭টি দেশে
করোনার থাবায় বদলে গেছে পৃথিবীব্যাপী পর্যটনের ধরন। করোনাবিরোধী প্রতিষেধক না নিয়ে থাকলে অধিকাংশ দেশেই প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না। তাই যেকোনো আন্তর্জাতিক ভ্রমণের পরিকল্পনার আগে সে দেশের করোনা ও ভ্রমণবিধি সম্পর্কে জেনে নেওয়াটা হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
হাতেগোনা কয়েকটি দেশে পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল রয়েছে। এখানে বলা হলো তেমন ৭টি দেশের কথা যারা টিকাহীন পর্যটকদের ঢুকতে অনুমতি দিচ্ছে।
- গ্রীস
গ্রীস ভ্রমণে ইচ্ছুক যাত্রীদের আসার আগের দিনই 'প্যাসেঞ্জার লোকেটর ফর্ম' পূরণ করতে হবে। সেখানে দেশটিতে তাদের অবস্থানের বিস্তারিত উল্লেখ থাকবে। এছাড়াও প্রত্যেককে গ্রীসে পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন কোভিড-১৯ টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
গ্রীস সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, "গ্রীসে পর্যটকদের প্রবেশের ক্ষেত্রে টিকাগ্রহণ বাধ্যতামূলক নয়। ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট অবশ্যই বিভিন্ন প্রক্রিয়া ব্যাপকভাবে সহজ করে তোলে। তবে কোনভাবেই ভ্যাকসিন বা অ্যান্টিবডি সার্টিফিকেট গ্রীসে প্রবেশের 'পাসপোর্ট' হিসেবে বিবেচ্য নয়।"
- পর্তুগাল
ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত না হয়ে থাকলে এবং টিকা না নিয়ে থাকলেও পর্তুগাল প্রবেশের ক্ষেত্রে সমস্যা হবে না পর্যটকদের। দেশটিতে আগমনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন পিসিআর টেস্ট অথবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখালেই চলবে। এছাড়াও ডিপারচারের পূর্বে যাত্রীদের একটি প্রশ্নের সেট পূরণ করতে হবে।
ভুলে গেলে চলবে না, যাত্রীদের কেউ যদি উপরোল্লিখিত বা প্রাসঙ্গিক ডকুমেন্টস দেখাতে না পারে, তাহলে বিমান কর্তৃপক্ষ তাদের যাত্রা বাতিলের এখতিয়ার রাখে। সুতরাং ভ্রমণের পূর্বে নির্দিষ্ট এয়ারলাইনসের কাছ থেকে সব বিষয়ের খুঁটিনাটি জেনে রাখা শ্রেয়।
- ক্রোয়েশিয়া
ইউরোপের দেশটিতে যেতে চাইলে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন পিসিআর টেস্ট অথবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। টিকাগ্রহণ আবশ্যক নয়।
এছাড়াও ভ্রমণ শুরুর ১১-১৮০ দিনের মধ্যে যদি কারো কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়ে সেরে গিয়ে থাকে, তাহলে তাদের ডাক্তার প্রদত্ত সার্টিফিকেট দেখালেও চলবে।
- তুরস্ক
টিকা নিয়ে থাকলে তুরস্কে প্রবেশ সহজতর হবে, তবে যারা টিকা নেননি সুযোগ রয়েছে তাদের জন্যও। পর্তুগাল, ক্রোয়েশিয়ার মতো একই বিধি বহাল। যাত্রীদের ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন পিসিআর টেস্ট অথবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সম্পন্ন অ্যান্টিজেন টেস্টের নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে হবে।
এছাড়াও ভ্রমণকারীরা তুরস্কে প্রবেশের ছয়মাসের মধ্যে করোনা থেকে সেরে উঠেছেন এমন সার্টিফিকেট দেখাতে পারবেন।
এর পাশাপাশি ভ্রমণের ৭২ ঘণ্টা আগে পূরণ করা একটি অনলাইন ফর্ম এবং মেডিকেল স্ক্রিনিংয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।
- মেক্সিকো
মেক্সিকোর দ্বার খোলা আছে সকল পর্যটকের জন্য। এই মুহূর্তে সেখানে পৌঁছে নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট বা কোয়ারেন্টিন, কোন বিধিনিষেধের মধ্য দিয়েই যেতে হবে না। ভ্রমণকারীদের আগে থেকে একটি ফর্ম পূরণ করে রাখতে হবে, মেক্সিকোতে প্রবেশের সময় ফর্মের কিউআর কোড দেখাতে হবে।
মেক্সিকোর রিসোর্টগুলোতে পৌঁছানোর পর সেখানেও আগত যাত্রীদের কিছু মেডিকেল ফর্ম পূরণের প্রয়োজন হতে পারে।
- মালদ্বীপ
মালদ্বীপে পৌঁছে পর্যটকদের একটি নেগেটিভ পিসিআর টেস্ট করাতে হবে। টেস্ট আর নেগেটিভ সার্টিফিকেট দুটোই ডিপারচারের ৯৬ ঘণ্টা আগে সম্পন্ন করতে হবে।
টিকার সম্পূর্ণ ডোজ গ্রহণকারী যাত্রীদের কোন কোয়ারেন্টিনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে না, যারা পুরো টিকা নেননি তারাও ঢুকতে পারবেন। তবে তাদের ১৪ দিনের সেলফ আইসোলেশন লাগবে এবং কোয়ারেন্টিন শেষে বেড়িয়ে আসার সময় আরেকদফা টেস্ট করাতে হবে।
- কোস্টা রিকা
টিকা না নেওয়াদের কোস্টারিকায় প্রবেশে মানা নেই, তবে তাদের জন্য স্থানীয় বিধিনিষেধ কিছুটা কঠোর হবে। মজার ব্যাপার হলো, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে প্রবেশে লাগবে না কোনো কোভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট!
বরং ভ্রমণকারীদের একটি স্পেশাল হেলথ ট্রাভেল ইন্স্যুরেন্স কিনে তা কোস্টা রিকার হেলথ পাসের সাথে সংযুক্ত করাতে হবে।
- সূত্র- টাইমস অফ ইন্ডিয়া