ইরান পরমাণু ইস্যু: আমেরিকা বলছে চুক্তি দৃশ্যমান, সময়সীমা নিকটেই
ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি আবারো আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে চুক্তি পুনর্জীবিত করার সময় শেষ হয়ে আসছে বলে জানাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ সপ্তাহে ভিয়েনায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে আবার আলোচনার টেবিলে বসেছে ইরান। তেল রপ্তানিসহ ইরানের উপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিনিময়ে ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তিটি আবার চালু করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পশ্চিমা শক্তিগুলো।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, বেশ কয়েক দফা আলোচনার পর এখন 'চূড়ান্ত পর্যায়ে' আছে এই সমঝোতা। রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো সময় এই চুক্তির ঘোষণা আসতে পারে।
২০১৫ সালে ওবামা প্রশাসনের সময় হওয়া চুক্তিটির নাম জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (সংক্ষেপে জেসিপিওএ)। এই চুক্তি তেহরানের পারমাণবিক কার্যক্রমের উপর কঠোর সীমাবদ্ধতা স্থাপন করেছিল। কিন্তু ২০১৮ সালে আবার এই চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেয় ট্রাম্প প্রশাসন।
বুধবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি জেন সাকি বলেন, "সব পক্ষের মূল উদ্বেগগুলো সমাধান করে এই চুক্তি। কিন্তু আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সকল পক্ষ সমঝোতায় না পৌঁছালে ইরানের পারমাণবিক অগ্রগতি এমন এক জায়গায় চলে যাবে যেখান থেকে আমাদের পক্ষে আর জেসিপিওএতে ফিরে আসা অসম্ভব হয়ে উঠবে।"
এই চুক্তি আলোর মুখ না দেখলে যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্রদের নিয়ে বিকল্প পথে হাঁটবে। ইরানের উপর শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নিতে পারে তারা।
গত বুধবার এক ব্রিফিং থেকে বেরিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উভয় পার্টির সিনেটররা বলেন, এই আলোচনা চলাকালেও ইরান তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি যতটা সম্প্রসারিত করেছে, তাতে তারা হতবাক।
সূত্র: ব্লুমবার্গ।