‘পালানোর বাহন নয়, অস্ত্র ও গোলাবারুদ চাই’- বাইডেনের উদ্ধার প্রস্তাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের
রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করবে অনেক আগেই জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ক্রেমলিনের টার্গেট ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদমির জেলেনস্কি। তার পরিবার দ্বিতীয় শীর্ষ টার্গেট। কিয়েভের দিকে এখন রুশ সামরিক বাহিনীও এগিয়ে আসছে। এ বাস্তবতায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেলেনস্কিকে উদ্ধারের প্রস্তাব দেন। কিন্তু সে প্রস্তাব প্রচণ্ড ক্ষোভের সাথে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট।
বাইডেনের প্রস্তাবের জবাবে তিনি বলেন, "এখানে যুদ্ধ চলছে, আমি গোলাবারুদ চাই, পালিয়ে যাওয়ার বাহন চাই না।" দুই প্রেসিডেন্টের আলোচনার বিষয়ে ওয়াকিবহাল একজন জ্যেষ্ঠ মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তা এসব কথা জানান। জেলেনস্কি এসময় উত্তেজিত ছিলেন বলে উল্লেখ করেন ওই কর্মকর্তা।
বাইডেন সম্প্রতি সামরিক সহায়তা হিসেবে ইউক্রেনকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন দিয়েছেন। এরপরই তিনি জেলেনস্কির সাথে আলোচনা করেন।
রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বর্তমানে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের দিকে এগিয়ে আসছে। আর সেখানেই রয়েছেন জেলেনস্কি।
রুশ সেনারা চারদিক থেকে কিয়েভ ঘিরে ফেলছে। ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি ও কাঠামোও ধবংস করছে বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে।
রাশিয়ার প্রবল সামরিক শক্তির মুখে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর কিছু ইউনিট সাধ্যমতো প্রতিরোধের চেষ্টা করছে। এরমধ্যেই রাজধানী কিয়েভ থেকে ৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে বিলা জারকোভায় রাশিয়ার একটি ইলিউশিন-৭৬ সামরিক পরিবহন বিমানকে ইউক্রেনীয় সেনারা ভূপাতিত করেছে বলে জানিয়েছেন দুজন মার্কিন কর্মকর্তা। এর আগেও একই ধরনের আরেকটি পরিবহন বিমান ভূপাতিত করা হয়।
দুটি বিমানই অন্তত ২০০ জন করে ছত্রীসেনা বহন করতে পারে। তবে হতাহতের সংখ্যা জানানো হয়নি।
আগের দিন রাতে (শুক্রবার দিবাগত) টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, "আজ রাতে তারা অভিযান (কিয়েভে) চালাবে। রণাঙ্গনের সকল দিকে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে শত্রুরা আমাদের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে চাইবে। আমাদের লড়তে হবে, পিছু হটা চলবে না। আজকের লড়াই ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারণের।"
জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভ প্রতিরক্ষার তৎপরতায় দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।
- সূত্র: ডেইলি মেইল