ইউক্রেনের আরেক শহর রুশ বাহিনীর দখলে
শনিবার (২৬ মার্চ) ইউক্রেনের আরও একটি শহর স্লাভ্যুটিচের দখল নিয়েছে রুশ সামরিক বাহিনী। শহরের মেয়রের বরাত দিয়ে ইন্টারফ্যাক্স ইউক্রেন নিউজ এজেন্সি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর রয়টার্সের।
এর আগে, একটি অনলাইন পোস্টের মাধ্যমে কিয়েভ অঞ্চলের গভর্নর ওলেক্সান্ডার পাভলিউক শহরটি রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে জানিয়েছিলেন।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্লাভ্যুটিচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার সময় সংঘাতে নিহত হয়েছে অন্তত ৩ জন। এছাড়া, শহরের পৌর হাসপাতালও রুশ বাহিনীর দখলে চলে গেছে।
এ ব্যাপারে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা ওলেক্সি আরেস্তোভিচ বলেন, এ শহরটি এখন যুদ্ধের নতুন হটস্পটে পরিণত হয়েছে।
রাজধানী কিয়েভের উত্তরে অবস্থিত স্লাভ্যুটিচ শহরে বসবাস করেন প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। ১৯৮৬ সালে চেরনোবিল পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দুর্ঘটনার পর এই শহরটি গড়ে তোলা হয়। চেরনোবিল পারমাণবিক সাইটের কর্মীরা এই শহরেই বসবাস করেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় রুশ বাহিনীর হাতে। এরপরেও সাইটটি ইউক্রেনের কর্মীরাই পরিচালনা করে আসছিলেন।
এদিকে, রুশ সেনাদের শহর দখলের প্রতিক্রিয়ায় বিক্ষোভে রাস্তায় নামে স্লাভ্যুটিচের সাধারণ জনগণ। ইউক্রেনের পতাকা উড়িয়ে দেশাত্মবোধক স্লোগান দেয় তারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে। স্থানীয় প্রশাসনের খবর অনুযায়ী, শহর দখলের মুখে মেয়র ইউরি ফোমিচেভকেও এ সময় বন্দি করেছিল রুশ সেনারা। পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছে কয়েকটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে। তবে, মেয়র আটক বা মুক্তি সংক্রান্ত তথ্যটি বার্তাসংস্থা রয়টার্স স্বাধীনভাবে যাচাই করতে পারেনি।
- সূত্র: রয়টার্স