বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন মমতা
বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার 'কবিতা বিতান' কাব্যগ্রন্থের জন্য হয়েছে রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর তাকে এই পুরস্কার দিয়েছে।
সোমবার (১০ মে) ২৫ বৈশাখ উপলক্ষ্যে কবি প্রণাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। সে অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, সমাজের নানা কাজের পাশাপাশি যারা নিরলস সাহিত্য সাধনা করে চলেছেন, তাদের পুরষ্কৃত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলা অ্যাকাডেমি।
সব লেখকের সর্বসম্মতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পুরস্কার পাচ্ছেন উল্লেখ করে বলা হয়, বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা এই নাম ঠিক করেছেন।
এই পুরস্কার ঘোষণার সময় মঞ্চে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বাংলা আকাদমির সভাপতি ব্রাত্য বসু, সদস্য শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, আবুল বাসার, প্রচেত গুপ্ত, সুবোধ সরকার, শ্রীজাত, অর্পিতা ঘোষ, সুধাংশু দে, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, প্রসূন ভৌমিক।
এই পুরস্কার নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই পুরস্কার দেওয়া নিয়ে কটাক্ষের সুরে ভারতীয় অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র আজ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। মঙ্গলবার সকালে 'কবি মমতা'-র লেখা কবিতা পাঠ করে সেই ভিডিও প্রকাশ করেন তিনি।
ভিডিওর শুরুতেই শ্রীলেখাকে বলতে শোনা যায়, 'কে বলে বাঙালি শুধুই রবীন্দ্রনাথের লেখা পড়ে। এই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আকাদেমি পুরস্কারে পুরস্কৃত হলেন তাঁর নিরলস সাহিত্যচর্চা, তাঁর সাধনার জন্য।'
এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা দুটি কবিতা পাঠ করেন শ্রীলেখা। প্রথমে পড়লেন 'এপাং ওপাং ঝপাং'। কবিতা শেষ করে বললেন, 'এ কবিতার গুঢ় অর্থ আছে। নিশ্চয়ই যাঁরা তাঁকে আকাদেমি পুরস্কার দিয়েছেন সুবিচার করেছেন। আর তারপর পড়েলেন 'হাম্বা'। বললেন, 'ওঁর যে কত পশুপ্রেম আছে তা এই কবিতাটায় বোঝা যায়। আমিও তো পশুপ্রেমী…'
শ্রীলেখার এই ভিডিও শেয়ার হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
অনুষ্ঠানের মঞ্চে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকলেও তিনি এই পুরস্কার নিজে হাতে গ্রহণ করেননি। ব্রাত্য বসুর ঘোষণা শেষ হতেই তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর এই পুরস্কার গ্রহণ করবেন বাংলা অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু।' তারপর ইন্দ্রনীল ব্রাত্যর হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
তিন বছর পরপর এই পুরস্কার দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ব্রাত্য বসু। এবারই প্রথমবারের মতো এই বিশেষ পুরস্কার চালু হয়।
উল্লেখ্য, এবারের কলকাতা বইমেলায় একাধিক বই প্রকাশ হয়েছিল মমতার। তার সব বই বিক্রির ধুম পড়ে যায়। সেন্ট্রাল পার্ককে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা প্রাঙ্গণ হিসাবে ঘোষণা করেন মমতা। এখানেই তার কবিতা বিতানের সবচেয়ে বেশি কপি বিক্রি হয়েছে।