ধ্বংসাবশেষের কবিতার নতুন করে ফিরে আসা
বিস্তৃত বিবর্ণ প্রান্তর। জনশূন্য। একদিকে ঘূর্ণায়মান বাতাসের খেলায় সৃষ্ট হয়ে আছে বেলেপাথর। এক নিঃসঙ্গ পথিক এই প্রতিকূল ও জলহীন প্রান্তরে ঘুরছে আশ্রয়ের সন্ধানে। দূর–প্রান্তে একটি ধ্বংসাবশেষের রেখা তার সামনে আচমকা ভেসে উঠল যেন। উষ্ণতা থেকে উদ্ভুত বাষ্পের মতো জমির উপর তা আবছা দেখা যাচ্ছে। যতই সে কাছাকাছি পৌঁছছে ততই জায়গাটার পুরনো স্মৃতি ফিরে আসছে। ভাঙা তাঁবু আর তার খুঁটি, পরিত্যক্ত আগুনের ছাঁচ, দীর্ঘকাল আগে পরিত্যক্ত ধ্বংসাবশেষ: এই সেই জায়গা, যেখানে একদিন সে তার জীবনের ভালোবাসার সঙ্গে মিলিত হয়েছিল। চিরদিনের জন্য হারিয়েছে যাকে। পুরনো ইমারতের ধ্বংসাবশেষ ঘুরে ঘুরে দেখতে গিয়ে সে আবিষ্কার করলো, একদিন যেখানে সে তার প্রিয়ার সঙ্গে হেঁটেছিল সেখানে হরিণ আর ছাগল চরে বেড়াচ্ছে। যে তাবুতে ওরা দুজন এক সঙ্গে শুয়েছিল, দেখতে পেলো সেখানে মরু লতাপাতা বেড়ে উঠছে। এই জায়গার স্মৃতি যেভাবে তীব্র বেগে তার কাছে ফিরে আসে, সেভাবে বজ্রের ঝলকানিতে দিগন্ত উজ্জ্বল হয়ে উঠে। শেষমেষ ঝুম বৃষ্টি নেমে আসে মাটিতে।
দৃশ্যটি বেশ বিখ্যাত। শত বছর ধরে এটি আরবি কবিতায় বারবার ফিরে ফিরে এসেছে। এই দৃশ্য প্রাক-ইসলামি যুগ এবং ইসলামের প্রাথমিক যুগের আরবি কবিতার একটি কাব্যিক টুলে পরিণত হয়েছে। আরবিতে এটি 'উকুফ আলাল আতলাল' (الوقوف على الأطلال) বা 'ধ্বংসাবশেষে দাঁড়িয়ে' নামে পরিচিত। বর্তমানে, মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ক্রমাগত যুদ্ধ আর সংঘাতের ক্ষতির মুখে দাঁড়িয়ে নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা যা সৃষ্টি করছেন তাতে এটি নবজীবন পেয়েছে।
আরবি কাব্যে 'আতলাল' (الأطلال—ধ্বংসাবশেষ) এর ধারণা মূলত প্রাক-ইসলামি যুগের আবিষ্কার, জাহেলি যুগের কবিদের হাতে। ধারণা করা হয়, এই ধারার প্রবর্তক ৬ষ্ট শতকের কবি-সম্রাট ইমরাউল কায়েস। কায়েস ছিলেন কিন্দাহ রাজ্যের সর্বশেষ রাজা। তাঁকে আরবি কবিতার আদিপিতা বলা হয় আজও। কবিতার প্রতি অতিরিক্ত প্রেমের কারণে জীবনের বড় অংশই তাকে রাজ্যহারা হয়ে কাটাতে হয়েছে। রাজ্য থেকে এই নির্বাসনের সময়টাতে সমগ্র আরবজাহান তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন আর লিখেছেন অমর সব কবিতা। রীতি অনুযায়ী আরবের উৎকৃষ্ট সাতটি কবিতা ইসলামের পবিত্রতম স্থান কাবাঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা হতো। কবিতাগুলো টাঙিয়ে রাখা হতো বলেই এগুলোকে লতিকা বা 'মুয়াল্লাকা' বলা হতো, সাতটি লতিকাকে বলা হতো 'সাবউল মুয়াল্লাকাত'। ইসলামপূর্ব সময়ের কবি ইমরাউল কায়েসের কবিতাও স্বর্ণে খুদিত আকারে কাবাঘরের দেয়ালে টাঙিয়ে রাখা হয়েছিল।
মুয়াল্লাকা সাহিত্যে তাঁর অবদান
ইমরাউল কায়েস একটি চরিত্র সৃষ্টি করেছেন। চরিত্রটি পরিত্যক্ত তাঁবুর আশেপাশে ঘুরে বেড়ায় আর ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে তার পরম প্রিয়াকে স্মরণ করে। প্রাকৃতিকভাবে ভেঙে পড়া, নির্জন আর ঝোঁপঝাড়ে ঢাকাপড়া স্মৃতির তাঁবুকে কবি মেলে ধরেন:
তার তাঁবুর আলামত এখনো পুরোপুরি মুছে যায়নি
......
ভেঙেপড়া পুরনো বাড়ির প্রাঙ্গণ নির্জনে পরিণত হয়েছে;
বুনো হরিণের গোবর মরিচের বীজের মতো দলা পাকিয়ে আছে।
ইমরাউল কায়েসের মুয়াল্লাকা
আরবি উকুফ (الوقوف) শব্দটি 'থামানো' ও 'দাঁড়ানো'—এই দুই অর্থে ব্যবহার করা হয়। তাই এই ধরনের কবিতা সময়ের বাইরে গিয়ে সাধারণত স্থিরতা ও ধ্যানের সৃষ্টি করে। কবিতায় উপস্থাপিত দৃশ্যটি বিনাশ ও তীব্র আকাঙ্ক্ষার স্মৃতিবাহক হয়ে উঠে। প্রিয়ার কথা স্মরণের পর ইমরাউল কায়সের সৃষ্ট চরিত্র উজ্জ্বল আলোয় বর্তমানকে হাজির করে:
কিন্তু আসো, বন্ধু আমার, যেমন আমরা দাঁড়িয়ে আছি এখানে
শোকে বিহ্বল, তুমি কি বজ্রপাত দেখতে পাচ্ছো?
দ্যুতিটা দেখো এর, যেন জমাট মেঘের ভেতর
চলমান দুটি হাতের ঘর্ষণের উজ্জ্বল আভা!
ইমরাউল কায়েসের সমকালীন আরবি কবিতার আরেক ওস্তাদ ছিলেন তারাফা। কাবাঘরে লটকানো কবিতা বা মুয়াল্লাকার ভেতর তারাফার কবিতাও ছিল। ইমরাউল কায়েসের অনুকরণে তারাফার লেখা কবিতাও দিগন্তে দীপ্তির রেখা নিয়ে হাজির হয়:
তিমহাদের বিবর্ণ সমতল ভূমিতে
রেখে যাওয়া খাওলার ধ্বংসাবশেষ;
এসে হাজির হয় এবং বিলীন, যেন
হাতের উল্টোপিঠে আঁকা উল্কি এক
(তারাফার মুয়াল্লাকা)
ধ্বংসাবশেষের মুখ প্রিয়ার আকস্মিক আবির্ভাবের অর্থ বয়ে নিয়ে আসে। স্বপ্নালু, অদ্ভুত এবং আদিগন্ত মন্থর সে অনুভুতি।
কবি একদিন পুরানো সেই তাঁবুর কাছে পৌঁছেন। তাঁর হারানো ভালোবাসার কথা মনে পড়ে। সেই ভগ্নাবশেষের সর্বত্র, এমনকি প্রতিটি ধুলিকণায়ও প্রিয়ার পায়ের ছাপ দেখতে পান:
আমি যখন রুক্ষ্ম ও পাতলা চাবুক চালাই
তখন সে তীব্রবেগে এগিয়ে যায়,
ধূমায়িত বাষ্পের দিকে
আগুনধরা বিস্তৃত পাথুরে মরুর বুক চিড়ে।
এই ধ্বংসাবশেষ তারাফাকে স্মরণ করিয়ে দেয় তার নিষ্ঠুর ভাগ্য আর এলোমেলোভাবে কাটানো দীর্ঘ সময়ের কথা। তারা জীবনের অবিচার আর অনিবার্য ক্ষতির কথা বলে:
আপনি দেখছেন দুটি ঢিবি
নীরব ফলক—
শক্ত, বধির পাথর
তাদের উপর স্তূপ করে রাখা।
আমি দেখছি মৃত্যু বেছে নিচ্ছে
একেকটি উদার ও মহাপ্রাণ,
সেরা অংশটি তুলে নেওয়ার বেলায়
কঠোর ও কৃপণ তার লুণ্ঠন।
ইমরাউল কায়েস, তারাফা ও অন্যান্য প্রাক-ইসলামি যুগের কবিদের কবিতায় ধ্বংসাবশেষের প্রতি দেখানো সংবেদনশীলতা আব্বাসি আমলের ইসলামের স্বর্ণযুগের কবিদের কাছে হয়ে উঠেছিল উপহাসের বিষয়। কবি আবু নুওয়াস (৭৬২-৮১৩ খ্রিষ্টাব্দ) ছিলেন ওয়াইন আর নারী-পুরুষের ভালোবাসার জন্য বিখ্যাত। তাকে বলা হতো 'আব্বাসি কবিতার খারাপ ছেলে'। এই কবি তাঁর কবিতায় 'আতলাল' (ধ্বংসাবশেষ) এর ধারণা নিয়ে প্রকাশ্যে উপহাস করেছেন:
আমি যখন আশেপাশের পানশালার খোঁজে বেরিয়েছি,
হতচ্ছাড়ারা তখন দিয়েছে পরিত্যক্ত শিবিরে যাত্রাবিরতি।
তাদের চোখের জল কখনো না শুকাক
যারা ধ্বংসাবশেষের পাথর ধরে কাঁদে,
তাঁবুর খুঁটি ধরে কাঁদতে থাকা সেইসব
প্রেমকষ্টে ভোগাদের ভালোলাগাও যেন না কমান ইশ্বর।
(আবু নুওয়াস, হতচ্ছাড়ার যাত্রাবিরতি)
এইসব বিদ্রুপের পরও আরবি কাব্যে 'আতলাল' যুগের পর যুগ মর্যাদার আসন ধরে রেখেছে। এই একুশ শতকে এসে মধ্যপ্রাচ্যের শিল্পী-সাহিত্যিকদের নতুন প্রজন্ম প্রাচীন এই ধারাটির প্রতি মনোযোগী হয়ে উঠেছে। আরবের মাটিতে ঘটতে থাকা চলমান ধ্বংসযজ্ঞ ও ক্ষতির অভিজ্ঞতাকে 'আতলাল' এর ধাঁচে ফেলে নতুন অর্থ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। বিশেষ করে ইরাক ও ফিলিস্তিনের যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাদের সৃষ্ট শিল্পসাহিত্যে নতুনভাবে ধরা দিচ্ছে।
খনন করে তুলে আনা কাব্যিক ঐতিহ্য:
ফিলিস্তিনি কবি মাহমুদ দারবিশ এই গুরুত্বপূর্ণ ধারার অন্যতম উত্তরাধিকারী। তাঁর 'আল-বিরউইর ধ্বংসস্তূপের সামনে দাঁড়িয়ে' কবিতাটি 'আতলাল' ধারার অন্যতম উদাহরণ। দারবিশ ফিলিস্তিনের যে গ্রামে জন্মেছিলেন এই কবিতা সেই ধ্বংস করে দেওয়া গ্রামে তাঁকে নিয়ে যায়। ১৯৪৮ সালে, দারবিশের বয়স যখন মাত্র সাত, ইসরাইলি সেনারা গ্রামে হানা দেয়। পুরো গ্রামটিকে জনশূন্য করে রেখে যায় শুধু ধ্বংসস্তূপ।
দারবিশের কবিতার পংক্তিগুলো ইমরাউল কায়েস ও তারাফার কবিতাকে অনেকটা অনুকরণ করে লেখা। দারবিশ এমনকি সেইসব জাহিলি কবিদের তাঁর কবিতায় সরাসরি উল্লেখও করেছেন:
থামো; যেন আমি ওজন করতে পারি এই জায়গার
এবং জাহিলি কবিতায় ধরতে পারি এর খা খা শূন্যতা
অশ্বদল এবং তার প্রস্থান
প্রতিটি ছন্দের জন্য একটি করে তাঁবু বাঁধব আমরা
প্রতিটি গৃহে একটি ঝড়ো তুফান বইবে বাতাসের সাহায্যে।
এখানে আছে এক ছন্দ।
এই ধ্বংসাবশেষের বর্ণনায় উঠে আসে দারবিশের শৈশবের স্মৃতি, ঠিক যেভাবে 'আতলাল'-এ কবিরা তাদের হারানো ভালোবাসার স্মৃতি ফিরে পান। প্রাচীন এই কবিতার ভঙ্গীর গুরুত্ব এখানেই। ঘর হারানোর বেদনা আর যুদ্ধের অবিচারকে 'আতলালে'র খাপে পুড়ে কবিরা সৃষ্টি করছেন অন্যরকম কবিতা।
ইরাকি ঔপন্যাসিক সিনান আন্তুন দারবিশের কবিতাটির অনুবাদ করেছিলেন। কবিতায় দারবিশের ধ্বংসাবশেষ বা 'আতলাল' এর ব্যবহার প্রসঙ্গে সিনান আন্তুন দীর্ঘ বক্তৃতা দিয়েছেন। আন্তুন বলেন,'দারবিশ এমন অতীতচারী যে অতীতে বসবাসের সুযোগ তিনি কখনো পাননি। তবে হ্যাঁ, সেই চিহ্নের অনুসন্ধানের মাঝে তিনি বসবাস করতে পারেন। এই তালাশের নামই ধ্রুপদী আরবি কবিতার আতলালের সন্ধান।'
আন্তুন বলেন, 'ধ্বংসাবশেষ বা আতলাল হলো প্রাক্তনের উপস্থিতির জন্য দাঁড়ানোর নাম। এটি চলমান বিলুপ্তি ও নির্বাসনের স্মারকও।'
সমকালীন ধ্বংসাবশেষ
নিজের লেখা উপন্যাসেও আন্তুন ইরাক এবং নিজের জন্ম–শহর বাগদাদে চলমান সহিংসতার কথা বর্ণনা করার উপায় হিসেবে 'আতলাল' এর ব্যবহার করেছেন। আন্তুনের 'দা কর্পস ওয়াশার' উপন্যাসের একটি চরিত্র বাগদাদ ন্যাশনাল লাইব্রেরির ধ্বংসাবশেষের মধ্য দিয়ে ঘুরে বেড়ায়। ২০০৩ সালের আগ্রাসনে এই লাইব্রেরিটি ধ্বংস করা হয়েছিল। ন্যাশনাল ফিল্ম আর্কাইভ এবং আরবের চলচ্চিত্রের শত বছরের সংগ্রহশালা মার্কিন বোমার আঘাতে মুহূর্তের মাঝে ধ্বংস হয়ে যায়।
আন্তুনের উপন্যাসে বাগদাদের ধ্বংসাবশেষ একটি মনুষ্য ও শারীরিক বিষয়—লুণ্ঠিত, কঙ্কালসার; যেন 'লাশের মতো'। অন্যদিকে মানুষের দেহ এবং প্রাণ বস্তুর মতো 'ধ্বংসাবশেষ'—'যে ধ্বংসস্তুপটি আমি ভেতরে বয়ে চলেছি, মনে হচ্ছে তা পাহাড়চূড়া ছাপিয়ে আরো উঁচুতে নিয়ে যাচ্ছে।' এমনকি আন্তুনের প্রথম উপন্যাস 'ইজয়াম'–এ ভাষাকেও একটি ধ্বংসস্তুপ আকারে দেখানো হয়েছে।
সাম্প্রতিককালে আতলালের সবচে' বড় ব্যবহার হয়েছে চলচ্চিত্রে। ২০১০ সালে পুরস্কারপ্রাপ্ত ইরাকি চলচ্চিত্র 'সন অব ব্যাবিলন'–এ পরিচালক মুহাম্মদ আল–দারাজদি ইরাকের অনন্য সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের ব্যবহার করেছেন। সেখানে প্রাচীন ও আধুনিককালের ধ্বংসস্তুপের ভেতর চরিত্রদের ঘুরে বেড়ানো দেখান পরিচালক।
ছবিটি একজন তরুণ কুর্দি ছেলের গল্প বলে। দেখা যায়, ২০০৩ সালে মার্কিন আগ্রাসনের পর আহমদ নামের এ ছেলেটি তার দাদির সঙ্গে জেলবন্দি বাবার সন্ধানে বের হয়। উর, নিমরুদ, ব্যাবিলনের মতো প্রাচীন ও মানবতার শুরুর দিকে আবাদ হওয়া শহরের ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়ে তারা এগিয়ে চলে, আধুনিককালের বাগদাদ ও নাসিরিয়া শহরের ধ্বংসস্তূপের ভেতর দিয়েও তারা সন্ধান চালিয়ে যান। শহরের থানাগুলো উজাড়, রাজবন্দিদের কারাগার ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এই যাত্রার মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষের যে স্মৃতি ধারণ করে তারা, যুদ্ধের অর্থহীনতা আর ক্ষয়–ক্ষতির দিকে ইঙ্গিত করে আল–দারাজদির চরিত্ররা শুধুই শূন্যতা দেখতে পায়।
আল–দারাজদি যুদ্ধ ও গোত্রীয় সংঘাতের ধ্বংসাবশেষকে আতলালের ফর্মে নতুনভাবে এনেছেন। কোনো একটি সুনির্দিষ্ট ঘটনার স্মৃতি না ধরে আল–দারাজদি ধ্বংসাবশেষকে এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন যে পুরো প্রজন্মের ক্ষতির কথা তা স্মরণ করিয়ে রাখে।
বেদুইন কবিদের একেবারে শুরুর দিক থেকে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের ধ্বংসস্তূপ পর্যন্ত 'আতলাল' বিবর্তিত ও বিস্তৃত হয়েছে। ফিলিস্তিন, ইরাক ও লেবাননের মতো আধুনিক শহরগুলো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে যে প্রজন্মের সামনে আতলাল তাদের কাছে নতুনভাবে আবারো প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। নতুন প্রজন্মের শিল্প–সাহিত্যিকরা অতীতে বলা ধ্বংসস্তুপের কথার সূত্র ধরে নতুন পথের দিশা পেয়ে গেছেন।
সূত্র: বিবিসি