আদমশুমারিতে গণনায় আসবেন প্রবাসীরাও
জীবিকা আর শিক্ষার প্রয়োজনে দেশের বাইরে থাকা প্রায় ১ কোটি মানুষ স্বাধীনতার ৪৭ বছর ধরে দেশের জনসংখ্যার হিসাবের বাইরে আছেন। দেশের ষষ্ঠ আদমশুমারিতে প্রবাসীদের পাশাপাশি দেশে অবস্থানরত বিদেশিরাও গননায় আসবেন বলে জানিয়েছেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
২০২১ সালে শুরু হতে যাওয়া আদমশুমারিকে সামনে রেখে আয়োজিত এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গতকাল এ ঘোষণা দেন সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এর মহাপরিচালক কৃষ্ণা গায়েনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবাষির্কীকে স্মরণীয় করতে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ রাত ১২টা সময়কে শুমারি মূহুর্ত ধরার ঘোষণা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে জনশুমারির কাউন্ট ডাউন শুরু হবে। শুমারি মূহুর্ত থেকে পরবর্তী সাত দিন মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
অনুষ্ঠানে সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “বিদেশে অবস্থানরত প্রায় ১ কোটির মতো প্রবাসীদের গননার আওতায় আনার পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বাংলাদেশে অবস্থানকারী বিদেশীদেরও গণনা করা হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকাশ কিশোর দাস বলেন, “এই শুমারির ফলাফলের উপর অন্যান্য জরিপের ফলাফলও নির্ভর করে। শুমারির তথ্যে প্রকৃত জনসংখ্যা বেড়ে গেলে মাথাপিছু আয় কমে যাবে। এ জন্য শুমারিটি সঠিকভাবে করতে হবে।”
দেশব্যপী শুমারি পরিচালনা অনেক কঠিন হলেও সঠিকভাবে এর কাজ শেষ করা হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
কৃষ্ণা গায়েন বলেন, “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৬ সূচকের তথ্য সরাসরি এবং ৯৭টি সূচকের ডিনোমিনেটর এই শুমারি থেকে থেকে পাওয়া যাবে।”
শুমারি পর্যন্ত আর্থ-সামাজিক ও জনতাত্ত্বিক জরিপের মাধ্যমে বিশদ তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হবে বলেও তিনি জানান।
জাতিসংঘের জনংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপি) পিপিআর বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান মাহাবুব-ই আলম অনুষ্ঠানে বলেন, এসডিজি অর্জনের বিভিন্ন সূচিতে তথ্য ঘাটতি রয়েছে, যা এই শুমারির মধ্য দিয়ে অনেকটা পুরণ হবে।
এ সময় পরিসংখ্যান ব্যুরোর সেন্সাস উইং পরিচালক মো. জাহিদুল হক সরদার বলেন, “১৯৭৪ সালে প্রথম আদমশুমারির ধারবাহিকতায় ২০১১ সালে পঞ্চম শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ২০২১ সালে অনুষ্ঠিতব্য আদম শুমারি ২০১৩ সালের পরিসংখ্যান আইন অনুযায়ী জনশুমারি ও গৃহগণনা নামে পরিচিত হবে।”
অনুষ্ঠানে বিবিএস কর্মকর্তারা জানান, ২০১১ সালের আমদশুমারিতে মোট ২৫টি প্রশ্ন থাকলেও এসডিজি বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নতুন শুমারিতে প্রশ্নের সংখ্যা বাড়ছে।