রিফাত হত্যা: প্রধান আসামী নয়ন বন্ড বন্দুকযুদ্ধে নিহত
বরগুনায় রিফাত শরীফ হত্যার অন্যতম প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবির হোসেন মাহমুদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির হোসেন নয়ন ওরফে নয়ন বন্ডকে গ্রেফতার করতে বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের পুরাকাটা নামক এলাকায় মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর সোয়া ৪টার দিকে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি চালায় নয়ন বন্ড ও তার সহযোগীরা।
পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির একপর্যায়ে নয়ন বন্ড বাহিনী পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে নয়ন বন্ডের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধার করে।
নয়ন বন্ডের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় এএসপি শাজাহানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
এর আগে সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় মামলার এজাহারভুক্ত ১১ নম্বর আসামি অলি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা অভিযুক্ত তানভীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এ ছাড়া নাজমুল হাসান, সাগর ও সাইমুন নামে অপর তিনজন বর্তমানে পুলিশি রিমান্ডে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত রিফাত শরীফ (২২) কে গত ২৬ জুন বুধবার সাড়ে ১০টার দিকে স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির সামনে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় । ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদিকে সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে 'শতবর্ষের পথে বঙ্গবন্ধু ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ' শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, "যে তিনজন ছেলে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেছে, আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, গোয়েন্দা বাহিনী তাদের পিছনে সার্বক্ষণিক লেগে ছিল। তাদের গ্রেফতারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। আমরা দুজনকে ধরেছি। আমি আগেই বলেছিলাম, আমরা সবাইকে ধরে ফেলব। তবে শেষ মুহূর্তে এই নয়ন শুধু পালিয়ে বেড়াচ্ছিল অবস্থান চেঞ্জ করছিল।
তাই তার (নয়ন) সঙ্গে শেষ পর্যন্ত গুলিবিনিময় হয়েছে। তবে আমি এখনো জানিনা কি কারণে তাকে আসলেই গুলি করা হয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত থাকেন, নিশ্চয়ই সে অস্ত্র দেখিয়েছিল, নিজেকে আড়াল করার চেষ্টা করেছিল, তাই আত্মরক্ষার তাগিদেই নয়নকে গুলি করে পুলিশ"।