অনুজ্জ্বল সাকিব, কলকাতার আরেকটি হার
জিততে হলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে পাড়ি দিতে হতো রানের পাহাড়। কিন্তু রান তাড়ায় একবারের জন্যও জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলতে পারেনি আইপিএলের দলটি। বড় লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাট হাতে বিশেষ কিছু করতে পারেননি সাকিব আল হাসান। বল হাতে অনুজ্জ্বল থেকে যাওয়া বাংলাদেশ অলরাউন্ডার ২৫ বলে ২৬ রান করে আউট হন। শেষের দিকে আন্দ্রে রাসেল ঝড়ো ইনিংস খেললেও তা যথেষ্ট হয়নি।
আইপিএলে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে ৩৮ রানে হেরে গেছে কলকাতা। দারুণ জয়ে আইপিএল মিশন শুরু করা কলকাতা টানা দুই ম্যাচে হারলো। অন্যদিকে তিন ম্যাচেই জয় তুলে নিলে বিরাট কোহলির দল।
রোববার চেন্নাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও এবি ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং ঝড়ে ৪ উইকেটে ২০৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে বেঙ্গালুরু। জবাবে কলকাতার বেশ কয়েক ব্যাটসম্যান শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। তাদের ইনিংস ৮ উইকেটে ১৬৬ রানে থেমে যায়।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দাপুটে শুরু করতে পারেনি কলকাতা। দলীয় ২৩ রানেই ওপেনার শুভমান গিলকে হারাতে হয় তাদের। ২১ রান করে বিদায় নেন তিনি। নিতিশ রানা ও রাহুল ত্রিপাঠি চাপ সামলে এগোতে থাকেন। কিন্ত বড় হয়নি তাদের জুটি। ২৫ রান করে বিদায় নেন ত্রিপাঠি।
উইকেট গেলেও বড় রান তাড়ার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত ব্যাট চালিয়েছেন কলকাতার ব্যাটসম্যানরা। কিন্তু বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউ-ই। নিতিশ ১৮, অধিনায়ক ইয়ন মরগান ২৯ ও সাকিব ২৬ রান করেন। ২০ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। বেঙ্গালুরুর কাইল জেমিসন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এ ছাড়া যুজবেন্দ্র চাহাল ২টি ও ওয়াশিংটন সুন্দর একটি উইকেট নেন।
এরআগে ম্যাক্সওয়েল ও ডি ভিলিয়ার্সের ব্যাটিং ঝড়ের মুখে কঠিন সময় গেছে সাকিব আল হাসানেরও। এদিন তাকে দিয়ে ৪ ওভার করাননি কলকাতার অধিনায়ক ইয়ন মরগান। প্রথম ওভারটা অবশ্য ভালোই করেন সাকিব, খরচা করেন ৭ রান। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে তার ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দেন ম্যাক্সওয়েল। এই ওভারে সাকিবের খরচা ১৭ রান। দুই ওভারে ২৪ রান খরচা করে কোনো উইকেট পাননি তিনি।
যদিও বেঙ্গালুরুর শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো। দলীয় ৯ রানের মধ্যেই ফিরে যান অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও রজত পতিদার। এখান থেকে দলের হাল ধরেন ম্যাক্সওয়েল। দেবদূত পাডিকালকে নিয়ে ৮৪ রানের জুটি গড়েন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।
দেবদূত দেখেশুনে খেললেও ক্রমেই রান তোলার গতি বাড়াতে থাকেন ম্যাক্সওয়েল। দেবদূত ২৫ রান করে থামলে উইকেটে যোগ দেন ডি ভিলিয়ার্স। ম্যাক্সওয়েল-ভিলিয়ার্স জুটি থেকে ৫৩ রান পায় বেঙ্গালুরু। ৪৯ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে আউট হন ম্যাক্সওয়েল।
ডি ভিলিয়ার্স ছিলেন আরও খুনে। শেষ বল পর্যন্ত ঝড়ের রেশ রাখা দক্ষিণ আফ্রিকার এই ব্যাটসম্যান মাত্র ৩৪ বলে ৯টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৭৬ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে কাইল জেমিসন ৪ বলে অপরাজিত ১১ রান করেন। কলকাতার বরুন চক্রবর্তী ২টি এবং প্যাট কামিন্স ও প্রদীস কৃষ্ণ একটি করে উইকেট পান।