আবাহনীকে জিতিয়েই চলেছেন মুশফিক
আবাহনী লিমিটেডের জয় মানেই সেখানে বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির প্রথম তিন ম্যাচের দুটিতেই তার ব্যাটে সওয়ার হয় আবাহনী। চতুর্থ ম্যাচে হাসেনি মুশফিকের ব্যাট, আবাহনীও হেরেছে। পঞ্চম ম্যাচেই দলকে জয়ে ফেরালেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। এদিন অবশ্য মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে পাশে পেয়েছেন তিনি।
ম্যাচ সেরা মুশফিক ও মোসাদ্দেকের দারুণ ব্যাটিংয়ে মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে আবাহনী। গাজী গ্রুপের দেওয়া ১৫১ রানের লক্ষ্য তিন উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে যায় আবাহনী। পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জয় পাওয়া আবাহনী পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে আছে। সমান ম্যাচে দুই জয় পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স আছে দুই নম্বরে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না আবাহনীর। দলীয় ২২ রানে ফিরে যান ওপেনার নাঈম শেখ, ফেরার আগে ১০ রান করেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্ত ফেরেন ৫ রান করে। থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মুনীম শাহরিয়ার। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান ২৮ রান করে বিদায় নেন।
৪৮ রানে ৩ উইকেট হারানো দলকে পথ দেখিয়ে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান মুশফিক ও মোসাদ্দেক। চতুর্থ উইকেটে ১০৫ রানের জুটি গড়েন তাড়া। ৩৫ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাচ সেরা মুশফিক।
পাঁচ ম্যাচের তিনটিতেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতলেন তিনি। পাঁচ ম্যাচে ৭১. ০০ গড়ে ১৪২ রান করেছেন মুশফিক। মোসাদ্দেক ২৮ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। গাজী গ্রুপের নাসুম আহমেদ, মাহেদী হাসান ও সঞ্জিত সাহা একটি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা গাজী গ্রুপের দুই ওপেনার মাহেদী হাসান ও সৌম্য সরকারই মূলত রান করেছেন। শহিদুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম বিপ্লবের বোলিং তোপে বাকি ব্যাটসম্যানদের কেউ-ই রান করতে পারেননি। মাহেদী ৩২ বলে ৭টি চার ও একটি ছক্কায় ৪৩ রান করেন। সৌম্য ৫০ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। এ ছাড়া মুমিনুল হক ১২ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৫ রান করেন। আবাহনীর শহিদুল ও বিপ্লব ২টি করে উইকেট নেন।