আশাবাদী সাইফউদ্দিন যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত
একজন, দুজন নয়; নিউজিল্যান্ড সফরে বাংলাদেশ দলে নেওয়া হয়েছে সাতজন পেসারকে। কন্ডিশন বিবেচনায় পেস আক্রমণ শক্তিশালী করতেই একাদশে পেসারের আধিক্য। বেশি পেসার থাকায় একাদশে সুযোগ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় থাকতে হবে অনেককেই। তবে অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এসব নিয়ে ভাবছেন না। টিম কম্বিনেশনের কারণে যেকোনো সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত ডানহাতি এই পেসার।
২০জন ক্রিকেটারকে নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে নিউজিল্যান্ডের উদ্দেশে রওনা করেছে বাংলাদেশ দল। ২০ জনের মধ্যে সাত পেসার হলেন তাসকিন আহমেদ, আল আমিন হোসেন, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মুস্তাফিজুর রহমান ও রুবেল হোসেন। এই সাতজনের মধ্যে একাদশে তিনজন পেসারের সুযোগ পাওয়ার কথা। যেকোনো সিদ্ধান্তের জন্য প্রস্তুত থাকলেও সাইফউদ্দিন একাদশে সুযোগ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।
বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে মিরপুরে সাইফউদ্দিন বলেন, 'এটা নিয়ে আমি ভাবছি না। টিম কম্বিনেশনের কারণে যেটা ভালো মনে হবে, সেটাই হবে। তবে ইনশা আল্লাহ, আশাবাদী সুযোগ পাওয়া নিয়ে। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।'
ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের মধ্যে অন্যতম সাইফউদ্দিন। ডেথ ওভার বোলিংয়ে তার ওপরই ভরসা রাখা হয়। নিউজিল্যান্ডের পেস সহায়ক উইকেটে সাইফউদ্দিনের কাছ থেকে দারুণ কিছু পাওয়ার আশায় বাংলাদেশ। তরুণ এই অলরাউন্ডারও নিজের সেরাটা দিতে প্রস্তুত।
যদিও নিউজিল্যান্ডের উইকেট নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামাচ্ছেন না ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। তার মতে, ভালো বোলিং করলে সব উইকেটেই সফল হওয়া সম্ভব, 'আপনি যদি ভালো বোলিং করেন, যেকোনো কন্ডিশনে, যেকোনো উইকেটে ভালো করা সম্ভব। লাইন এবং লেংন্থ মেনে বোলিং না করতে পারলে খারাপ হবে, এটাই স্বাভাবিক। আমার বেসিক অনুযায়ী সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব।'
অলরাউন্ডার হলেও বোলিংটাই মূল শক্তি সাইফউদ্দিনের। এই সফরে দারুণ কিছু করার ব্যাপারে প্রত্যয়ীই দেখালো তাকে, 'বোলিং তো আমার প্রথম দক্ষতা, এটা নিয়ে আমি বেশি সিরিয়াস। আশা করি ভালো করব। প্রক্রিয়া ঠিক রাখলে সফলতা পাব। শেষ কয়েকদিন এখানে (একাডেমি ভবন) ছিলাম, অনুশীলন করেছি। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি ভালো।'
নিউজিল্যান্ডে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বাংলাদেশকে। ২০ মার্চ ডানেডিনে প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু হবে সিরিজ। ২৩ মার্চ ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হবে দ্বিতীয় ওয়ানডে। এই ম্যাচটি হবে দিবা-রাত্রির। ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-নিউজিল্যান্ড।
ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল। ম্যাচ তিনটি ২৮, ৩০ মার্চ ও ১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হবে। নেপিয়ার, অকল্যান্ড ও হ্যামিল্টনে টি-টোয়েন্টিতে লড়বে দুই দল। বাংলাদেশ সর্বশেষ ২০১৯ বিশ্বকাপের আগে নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েছিল।