ইংল্যান্ডের বাংলাদেশ সফর স্থগিত!
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে বাংলাদেশে আসার কথা ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের। আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সিরিজটি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ঠিক আগে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা এই সিরিজটি হচ্ছে না। অনির্দিষ্টকালের জন্য সিরিজটি স্থগিত করা হয়েছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো তাদের খবরে এমনই জানিয়েছে।
এ নিয়ে ইংল্যান্ডের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমেও সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যদিও তাদের খবরে বলা হয়নি, সিরিজ স্থগিত হয়ে গেছে। টেলিগ্রাফ তাদের খবরে জানিয়েছে, বাংলাদেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ও একই সময়ে আইপিএল থাকায় সিরিজটির ভাগ্য অনিশ্চয়তায় পড়ে গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা চলছে বিসিবির।
তিনি বলেন, 'ওয়ানডে সিরিজটি আইসিসি সুপার লিগের অংশ, এটার সূচি পুননির্ধারণ করা নিয়ে ইসিবির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। যেহেতু সামনে একটি বিশ্বকাপ আছে এবং সব দলেরই ব্যস্ত সূচি, ক্রিকেটারদের বিশ্রামের কথাও আমাদের ভাবতে হবে। তবে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে সিরিজটি হচ্ছে না, তা বলা যাচ্ছে না। আলোচনা এখনও চলমান।'
বিসিবির প্রধান নির্বাহী আরও বলেন, 'যদি সিরিজটি আগের সূচিতেই থাকে, তাহলে তা আর জানানোর কিছু নেই। যদি নতুন সূচিতে হয়, আমরা সময় মতো সেটা জানিয়ে দেব। সেক্ষেত্রে ওয়ানডে সুপার লিগের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সুবিধাজনক কোনো সময়ে সিরিজটি হবে।'
বাংলাদেশ সফর স্থগিত হলে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের আইপিএলে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে। করোনাভাইরাসের কারণে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যাওয়া আইপিএলের বাকি অংশ ১৯ সেপ্টেম্বর সংযুক্ত আরব আমিরাতে শুরু হবে। এখানে অনুষ্ঠিত হবে বাকি ২৯টি ম্যাচ।
আগামী ১৭ অক্টোবর আরব আমিরাতেই শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। প্রস্তুতির কথা ভাবলে আইপিএলে খেলাই ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারদের জন্য সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত হতে পারে।
যেসব ক্রিকেটার আইপিএল খেলবেন না, ওই সময়ে তারা বিশ্রামে থাকবেন। করোনাকালীন সময়ে জৈব সুরক্ষা বলয়ের ধকল কাটিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি নেবেন তারা। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়াতে অ্যাশেজের প্রস্তুতিতেও মনোযোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের তিনটি ম্যাচ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ। তবে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ সুপার লিগের অংশ। তাই এই সিরিজটি খেলার বাধ্যবাধকতা আছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা ইংল্যান্ডের। এই সফরে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর দুটি টি-টোয়েন্টি খেলার কথা পাকিস্তান-ইংল্যান্ডের।