উৎসব থেকে উন্মাদনা, ২০ ইংলিশ সমর্থক গ্রেপ্তার
১৯৬৬ বিশ্বকাপের শিরোপা জেতার পর থেকে অপেক্ষা। বিভিন্ন সময়ে নানা আশা-সম্ভাবনা তৈরি হয়, কিন্তু অপেক্ষা আর ফুরোয় না ইংল্যান্ডের। এবারের ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে অপেক্ষা ঘুচেছে ইংলিশদের। ৫৫ বছর পর বড় কোনো টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। এমন অর্জনে ইংল্যান্ড এখন উৎসবের দেশ।
লন্ডনের আনন্দ উদযাপন রূপ নেয় উন্মাদনায়। ইংলিশ সমর্থকরা ভুলে যান সীমা, দেশের ফাইনালে ওঠার উদযাপনে রীতিমতো পাগলামি করতে থাকেন অনেকে। তাদের থামাতে রাস্তায় নামতে হয় লন্ডনের পুলিশকে।
লন্ডন পুলিশের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কা থেকে বুধবার রাতে ২০ জন ইংলিশ সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে ইউরোর ফাইনালে ওঠে ইংল্যান্ড। ডেনমার্কের হয়ে গোল করেন মিকেল ড্যামসগার্ড। প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোলে সমতায় ফেরা ইংল্যান্ড অতিরিক্ত সময়ে হ্যারি কেইনের গোলে উৎসবে মাতে। আগামী ১১ জুলাই লন্ডনে শিরোপার লড়াইয়ে ইতালির মুখোমুখি হবে ইংলিশরা।
ইংল্যান্ডের ফাইনাল নিশ্চিত হওয়ার পর স্বভাবতই উল্লাসে ফেটে পড়ে ইংলিশ সমর্থকরা। কিন্তু এই উল্লাস করতে গিয়ে বাধনহারা হয়ে ওঠে তারা। লন্ডনের রাস্তাঘাটে গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মধ্য লন্ডনের পিকাডেলি সার্কাসের রাস্তা আটকে আনন্দ-উল্লাস করতে থাকে সমর্থকরা।
নিজের বাড়ি নাকি রাস্তায় আছেন, তা যেন ভুলে যান ইংলিশ সমর্থকরা। কেউ কেউ গাড়ির ওপর উঠে নাচতে থাকে। এই আনন্দ উদযাপনের মাঝে ঘটে ভাঙচুরের ঘটনাও। এ ছাড়া শহরের টেলিফোন বুথগুলোর উপরে উঠে লাফালাফি করতে থাকে অনেকে।
এ কারণেই পুলিশের হস্তক্ষেপের দরকার পড়ে। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে এক টুইটে লন্ডন পুলিশ জানিয়েছে, 'রাস্তাঘাটের শৃঙ্খলা নষ্ট করার অভিযোগে অন্তত ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'