এক ক্যাচে সাকিবের এক লাখ রুপি
তিনি অলরাউন্ডার, ব্যাটিং-বোলিংয়ে দলের হয়ে অবদান রাখেন। আর ফিল্ডার সাকিব আল হাসান? ফিল্ডার হিসেবেও মন্দ নন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার। মাঠে অসাধারণ সব ফিল্ডিংয়ে তা আগেই প্রমাণ করেছেন সাকিব। বুধবার আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষেও নিজের ফিল্ডিং ঝলক দেখিয়েছেন তিনি।
দিল্লিকে হারিয়ে কলকাতা নাইট রাইডার্সের ফাইনালে ওঠার ম্যাচে অসাধারণ এক ক্যাচ নেন সাকিব। দিল্লির ইনিংসের তখন ১৫তম ওভার। প্রথম বলে বরুণ চক্রবর্তীকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে ক্যাচ তোলেন ৩৬ রানে অপরাজিত থাকা শিখর ধাওয়ান। দৌড়ে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি নেন সাকিব।
দারুণ এই ক্যাচের পুরস্কার 'পারফেক্ট ক্যাচ অব দ্য ম্যাচ' জিতেছেন সাকিব, পকেটে উঠেছে এক লাখ রুপি। এবারের আইপিএলে এটাই প্রথম পুরস্কার জিতলেন কলকাতার বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার। দারুণ ক্যাচ নেওয়ায় কলকাতা তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে সাকিবের ছবি পোস্ট করে লিখেছে, 'সাকিব দার নিরাপদ হাতে।'
ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংয়েও দলের হয়ে অবদান রাখতে সাকিবের নিবেদনে ঘাটতি নেই। এ জন্যই হয়তো পুরস্কার দেওয়ার সময় ভারতীয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে বলছিলেন, 'মাঠে অনেক কিছু করে সে। কিন্তু এবার তার এখানে আসার কারণ সে ক্যাচটি নিয়েছে।'
দারুণ ক্যাচে লাখ রুপি জিতলেও ম্যাচে সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি সাকিব। প্রথমে বল হাতে ৪ ওভারে ২৮ রান খরচায় উইকেটশূন্য থেকে যান তিনি। এই ম্যাচে কলকাতার সবচেয়ে খরুচে বোলার সাকিবই। পরে ব্যাট হাতে দলের হয়ে অবদান রাখতে পারেননি তিনি। জয়ের জন্য ৫ বলে ৬ রান দরকার ছিল, সাকিব ২ বল খেলেও কোনো রান নিতে পারেননি।
যদিও ম্যাচটি হারেনি কলকাতা। শেষ ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বলে দুই উইকেট নেওয়া রবিচন্দ্রন অশ্বিনকেই পঞ্চম বলে ছক্কা মেরে কলকাতার জয় নিশ্চিত করেন রাহুল ত্রিপাঠি। আগে ব্যাটিং করে ৫ উইকেটে ১৩৫ রান তোলে দিল্লি। জবাবে সহজ ম্যাচ কঠিন করে ৩ উইকেটে জেতে কলকাতা।