ওমানের বিপক্ষে পাত্তাই পেল না বাংলাদেশ
র্যাঙ্কিংয়ে ব্যবধান আকাশ পাতাল। ৮০ নম্বরে থাকা ওমানের বিপক্ষে ১৮৪ নম্বরে থাকা বাংলাদেশকে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক ছিল। মাঠের লড়াইয়েও ব্যবধান ফুটে উঠলো। ওমানের আক্রমণ ফেরাতে ফেরাতেই দিশেহারা হয়ে উঠলো বাংলাদেশ। তবু সব আক্রমণ ফেরানো গেল না, মেনে নিতে হলো বড় হার।
মঙ্গলবার কাতারের জসিম বিন হামাদ স্টেডিয়ামে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বে শক্তিশালী ওমানের বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে গেছে বাংলাদেশ। ওমানের হয়ে জোড়া গোল করেন খালিদ আল হাজরি। বাকি গোলটি করেন মোহাম্মদ আল গাফরি। বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচ হেরে খালি হাতেই বিদায় নিতে হলো জেমি ডের দলকে।
স্বাভাবিকভাবেই বল দখলের লড়াইয়ে অনেক এগিয়ে ছিল ওমান। দলটি ৮০ শতাংশ সময় বল নিজেদের দখলে রাখে। মুহুর্মুহু আকমণ সাজানো ওমান ম্যাচে শট নেয় ২২টি, এর মধ্যে ১০টি ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে বাংলাদেশের শট ছিল মাত্র ২টি, এর মধ্যে একটি ছিল লক্ষ্যে।
ম্যাচ শুরুর বাঁশি বাজতেই বাংলাদেশের রক্ষণে বল নিয়ে হানা দিতে থাকে ওমান। ১৮তম মিনিটে কর্নার থেকে দারুণ একটি আক্রমণ সাজায় ওমান। ছোট ডি-বক্সের সামনে থেকে ওমান ফরোয়ার্ডের হেড জালে ঢোকার সময় গোলবার লাইন থেকে ফেরান ইব্রাহিম। বাংলাদেশ আক্রমণে এতটাই পিছিয়ে ছিল যে, ২০তম মিনিটে গিয়ে প্রথমবারের মতো বল স্পর্শ করেন ওমানের গোলরক্ষক ফায়াজ আল রুশদি।
২২তম মিনিটেই এগিয়ে যায়। দলের পক্ষে গোল করেন মোহাম্মদ আল গাফরি। ২৯তম মিনিটে একটা থ্রো পায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আক্রমণ করে কর্নার আদায় করে বাংলাদেশ। কর্নার থেকে কিক থেকে উড়ে আসা বলে হেড নেন ইয়াসিন আরাফাত। কিন্তু সোজা হেড আরেকটি কর্নারের বিনিময়ে ফেরান ফায়াজ।
দ্বিতীয়ার্ধেও সমানভাবে বাংলাদেশকে চেপে রাখে ওমান। ধারাবাহিক আক্রমণে ৬১তম মিনিটে ব্যবধান করে তারা। এবারের গোলদাতা খালিদ আল হাজরি। ৮১তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের তৃতীয় গোলটি করেন ওমান ফরোয়ার্ড।