জয়-শামীমের ব্যাটে দারুণ জয়
বড় লক্ষ্যে শুরুটা ভালো না হলেও মাঝে মাহমুদুল হাসান জয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দলকে ঠিক কক্ষপথেই রাখেন। তিরিশোর্ধ্ব ইনিংস খেলে ইয়াসির আলী, তৌহিদ হৃদয়রাও রাখেন অবদান। তবে আসল কাজটি করেছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়লেন ডানহাতি এই তরুণ অলরাউন্ডার।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় একদিনের ম্যাচে রোববার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আয়ারলর্যান্ড উলভসকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে সাইফ হাসানের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ইমার্জিং দল। এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
ম্যাচ চলাকালীন আয়াল্যান্ডের অলরাউন্ডার রুহান প্রিটোরিয়াস করোনা সনাক্ত হওয়ায় প্রথম ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়। সিরিজের তৃতীয় ম্যাচটি আগামী ৯ মার্চ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে। এরপর দুই দল ঢাকা ফিরে বাকি দুই ওয়ানডের পর দুটি টি-টোয়েন্টিও খেলবে।
রোববার টসে জিতে আগে ব্যাটিং করে দারুণ শুরু পাওয়া আয়ারল্যান্ড ৭ উইকেটে ২৬৩ রান তোলে। সর্বোচ্চ ৯০ রান করেন প্রিটোরিয়াস। জবাবে মাহমুদুল হাসান জয়ের ৬৬ ও শামীম পাটোয়ারীর অপরাজিত ৫৩ রানে ২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ ইমার্জিং দল।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না বাংলাদেশের। দলীয় ৪৪ রানে বিদায় নেন তানজিদ হাসান তামিম। ১৮ বলে ১৭ রান করেন বাঁহাতি এই ওপেনার। এরপর আকবর আলী ছাড়া বাংলাদেশের সব ব্যাটসম্যানই তিরিশোর্ধ্ব রান করেন।
অধিনায়ক সাইফ হাসান ৩৬ রান করেন। ৩১ রান করে করেন ইয়াসির আলী ও তৌহিদ হৃদয়। সর্বোচ্চ ৬৬ রানের ইনিংস খেলতে ৯৫ বল খেলেন জয়, চার মারেন ৫টি। শামীম তার ৫৩ রানের ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ২টি ছক্কায়, বল খেলেন ৩৯টি। ১১ রানে অপরাজিত থাকেন সুমন খান।
এরআগে ব্যাটিং করা আয়ারল্যান্ড উদ্বোধনী জুটি থেকেই ৮৮ রান পায়। জেমস ম্যাককলাম ৪১ রান করে থামলেও প্রিটোরিয়াস খেলেছেন ৯০ রানের দারুণ একটি ইনিংস। ডানহাতি এই অলরাউন্ডার তার ১২৫ বলের ইনিংসটি সাজান ৯টি চার ও একটি ছক্কায়। স্টিফেন ডোহেনি ৩৭, অধিনায়ক হ্যারি টেক্টর ৩১ ও শেন গেটকেট ২৯ রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন সুমন খান ও রাকিবুল হাসান। একটি করে উইকেট পান মকিদুল ইসলাম মুগ্ধ ও শফিকুল ইসলাম।