নিজের ফাউন্ডেশনের পরিকল্পনার কথা জানালেন সাকিব
কোনো কিছুই আর আগের মতো নেই। করোনাভাইরাসের প্রকোপে থমকে গেছে গোটা বিশ্ব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার রোধে অনেক দেশেই চলছে লকডাউন। বাধ্য হয়ে ঘরবন্দী হয়ে থাকতে হচ্ছে সবাইকে। এমন অবস্থায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি সবকিছুর পরিকল্পনাতেই আনতে হচ্ছে পরিবর্তন।
সাকিব আল হাসান যেমন তার পূর্বপরিকল্পনা থেকে সরে এসে নতুন করে ভাবছেন। দেশসেরা এই অলরাউন্ডার 'দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন' গঠন করেছেন। ভিন্ন পরিকল্পনা থাকলেও 'মিশন সেইভ বাংলাদেশ' কার্যক্রম দিয়ে সাকিবের ফাউন্ডেশনের আত্মপ্রকাশ হয়েছে। আপাতত করোনাভাইরাস মোকাবিলাতেই কাজ করছে তার ফাউন্ডেশন।
আগের পরিকল্পনা বাদ দিয়ে নতুন করে পরিকল্পনা সাজাচ্ছেন সাকিব। 'দ্য সাকিব আল ফাউন্ডেশন' থেকে স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল ও একাডেমি তৈরির কথা জানিয়েছেন বর্তমানে ক্রিকেটে নিষিদ্ধ থাকা বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিশ্বের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান।
ফাউন্ডেশেনের অফিসিয়াল পেজ থেকে লাইভে এসে সাকিব বলেন, 'দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন শুরুতে ক্রীড়া বিষয়ক চিন্তা নিয়ে চালু করার ইচ্ছা ছিল। পরবর্তীতে স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে ছিল। আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রতিষ্ঠানটির যাত্রা আরও কিছুদিন পর শুরু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মহামারির এমন পরস্থিতিতে সবকিছু পরিবর্তন হয়ে যায়।'
সাকিব আরও বলেন, 'অবস্থার কারণেই চিন্তা এলো, এখনই সময় দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের যাত্রার। সাধারণ মানুষ এবং স্বাস্থ্য খাতে যদি কোনও সাহায্য করা যায়, সবাই সবার জায়গা থেকে নিশ্চিত সাহায্য করছে এ রকম বিপদের সময়। এখন সব দেশেই বিপদ। মূলত সেখান থেকেই ফাউন্ডেশন চালুর ইচ্ছে জাগে।'
সাকিবের ফাউন্ডেশন আড়াই হাজার দুস্থ পরিবারকে সহায়তা করেছে। পরবর্তীতে করোনাভাইরাস নির্ণয়ের কিট ও হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সরঞ্জামাদি সরবরাহ করে ফাউন্ডেশনটি।
স্কুল-কলেজ, হাসপাতাল নির্মাণের বিষয়ে সাকিব বলেন, 'হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ; এ ধরনের সেবা যদি দিতে পারি, সেটা খুবই ভালো হবে। এ ছাড়া আমি ক্রিকেটের মানুষ, যদি একটি অ্যাকাডেমি করতে পারি এ ফাউন্ডেশনের থেকে, তাহলে এর থেকে ভালো কিছু হতে পারে না।'
নিজের এই উদ্যোগে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়ে সাকিব বলেন, 'দ্য সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশনের যাত্রা মাত্র শুরু হলো। পরিস্থিতির কারণে হয়তো এভাবে শুরু করতে হয়েছে। অবশ্যই স্কুল-কলেজ, হাতপাতাল তৈরির ইচ্ছে আমার আছে। আপনারা সবাই সহযোগিতা করেন, দোয়া করেন তাহলে এ রকম কিছু অবশ্যই করতে পারব।' অসহায় মানুষদের সাহায্য করতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ব্যাট, জার্সি নিলামে তোলার পরামর্শও দেন সাকিব।