পাকিস্তানকে হারিয়ে হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন জাহানারা-সালমারা
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরই শুরু হয়ে যাবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাঠের লড়াই। আসর শুরুর আগ মুহূর্তে হুঙ্কারটা ভালোই দিয়ে রাখলেন আমাদের মেয়েরা। বিশ্বকাপের শেষ অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে পাকিস্তানকে ৫ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি সিডনিতে পর্দা উঠবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। বাংলাদেশের মিশন শুরু ২৪ ফেব্রুয়ারি। ওই ম্যাচে সালমা-জাহানারাদের প্রতিপক্ষ শক্তিশালী ভারত।
আসল লড়াইয়ের আগে চার প্রতিপক্ষকে উদ্দেশ্য করে সালমা খাতুনের দল যেন বলে উঠল, ‘আমরাও এবার জিততে এসেছি।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি গা গরমের হলেও এতে নিশ্চয়ই একটা বার্তা দেওয়া গেছে বাংলাদেশের গ্রুপে থাকা চার প্রতিপক্ষকে।
ব্রিসবেনের অ্যালান বোর্ডার ফিল্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাংলাদেশ খুব একটা ভালো ব্যাটিং করতে পারেনি। ৮ উইকেটে ১১১ রান তোলে সালমাবাহিনী। বল হাতে অবশ্য জ্বলে ওঠেন বাংলাদেশের মেয়েরা। জাহানারা আলম ও খাদিজাতুল কুবরার বোলিং তোপে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় পাকিস্তান।
আগে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ভালো ছিল না। দলীয় ৭ রানেই ওপেনার শামীমা সুলতানাকে হারাতে হয়। এরপর নিয়মিত উইকেটে হারিয়েছে দলটি।
এর মাঝে ব্যতিক্রম ছিলেন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। অন্য পাশে ভাঙনের সুর বাজলেও তাতে কান দেননি তিনি। ৩৮ বলে ৬টি চারে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেছেন।
এ ছাড়া নিগার সুলতানা ১৩, ফারজানা হক ২১ ও রিতু মনি ১৪ রান করেন। বাংলাদেশের তিনজন ব্যাটসম্যান রান আউটে কাটা না পড়লে হয়তো স্কোরটা আরেকটু বড় হতে পারতো। পাকিস্তানের আইমান আনোয়ার সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন।
১১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই সালমা খাতুনের স্পিন ঘূর্ণিতে দিক হারায় পাকিস্তান। অধিনায়কের এনে দেওয়া ভালো শুরুর সুবিধা দারুণভাবে কাজে লাগান জাহানারা, খাদিজারা।
বিশেষ করে জাহানারাকে সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়েছে পাকিস্তানের মেয়েদের। ডানহাতি এই পেসার ২২ রান খরচায় ৪টি উইকেট তুলে নেন। খাদিজা ১১ রানে নেন ৩টি উইকেট। সালমা খাতুনের শিকার ২টি উইকেট।
পাকিস্তানের ওপেনার জাভেরা খান সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন। এ ছাড়া নিদা দার ১৪ ও অলরাউন্ডার আলিয়া রিয়াজ ১৮ রান করেন।