পেশোয়ারে শোয়েবের বল চোখেই দেখিনি: সুজন
নাম শোয়েব আখতার। গতির কারণে কিছুদিনের মধ্যেই নতুন পরিচয় মিলে যায়। রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস হিসেবে নাম ছড়িয়ে পড়ে তার। উইকেটে তার গতির দাপটে ছটফট করতেন ব্যাটসম্যানরা। এখনও বিশ্বের সবচেয়ে গতিসম্পন্ন বোলার পাকিস্তানের সাবেক এই পেসার। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে শোয়েবের করা ঘণ্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার গতির বলটি ইতিহাসের দ্রুততম ডেলিভারি।
২২ গজে তার গতির ঝড়ের মুখে অনেক ব্যাটসম্যানই পথ হারিয়ে ফেলেছেন। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। শোয়েবের সঙ্গে বেশ কয়েকবার সাক্ষাৎ হয়েছে খালেদ মাহমুদের। এর মধ্যে একবার পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসারের বল চোখেই দেখেননি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অলরাউন্ডার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেশ সরব সময় কাটাচ্ছেন জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। দলের সিনিয়র তিন ক্রিকেটারের সঙ্গে লাইভে আড্ডা দেওয়ার পর তামিম সাবেক তিন ক্রিকেটারকে আড্ডার আমন্ত্রণ দেন।
তামিমের ডাকে সাড়া দিয়ে রোববার রাতে ফেসবুক লাইভে আড্ডায় মজেছিলেন বাংলাদেশের তিন অধিনায়ক হাবিবুল বাশার সুমন, খালেদ মাহমুদ সুজন ও নাঈমুর রহমান দুর্জয়। এই আড্ডাতেই শোয়েব আখতারকে মোকাবিলা করার অভিজ্ঞতার কথা জানান খালেদ মাহমুদ।
আড্ডার একটা সময় বাংলাদেশের ২০০৩ সালের পাকিস্তান সফরের কথা উঠে আসে। পেশোয়ারে দারুণ লড়েও হেরেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে বাংলাদেশকে একাই হারিয়ে দেন শোয়েব। ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন পাকিস্তানের সাবেক এই গতি তারকা।
শোয়েবের বোলিংয়ের বিপক্ষে ব্যাটিং করার অভিজ্ঞতা নিয়ে খালেদ মাহমুদ বলেন, 'শোয়েব ওই বছর দারুণ ছন্দে বোলিং করছিলেন। প্রথম ইনিংসে আমি শূন্য রানে আউট হয়েছিলাম। শোয়েবের প্রথম বলটি চোখেই দেখিনি। তৃতীয় বলেতো আউটই হয়ে গেলাম। এই ব্যাপারটি আমি বন্ধু-বান্ধব অনেককেই বলেছি, কিন্তু কেউই বিশ্বাস করেনি।'
প্রথম ইনিংসে লিড নেওয়ার পরও ম্যাচটি শোয়েব আখতারের কারণে হারতে হয়েছিল বলে জানান খালেদ মাহমুদ। বর্তমানে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, 'আমরা পাকিস্তানে তিনটি টেস্ট ম্যাচেই হেরে যাই। প্রথম টেস্ট করাচিতে চারদিনে নিয়ে যাই। পেশোয়ার টেস্টেও আমরা লিড নিয়েছিলাম। দ্বিতীয় ইনিংসে শোয়েব আখতারের দারুণ একটি স্পেলে আমরা অলআউট হয়ে যাই।'