প্লে-অফে মুশফিকের ঢাকা
নাঈম শেখের ব্যাটে শুরুটা হলো দাপুটে। তাতে সুর মেলালেন হাফ সেঞ্চুরি করা সাব্বির রহমান, আল আমিন জুনিয়র, মুক্তার আলীরা। বড় সংগ্রহ গড়ার পর বল হাতে স্পিন ভেল্কি দেখালেন রবিউল ইসলাম রবি। সব মিলিয়ে পুরো ম্যাচে শাসন করে জেমকন খুলনার বিপক্ষে দারুণ এক জয় তুলে নিলো মুশফিকুর রহিমের দল বেক্সিমকো ঢাকা।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খুলনাকে ২০ রানে হারিয়েছে ঢাকা। এই জয়ে তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফে উঠে গেছে মুশফিকের দল। হারলেও চাপ নেই খুলনার। আগেই প্লে-অফ নিশ্চিত হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দলের। প্লে-অফে উঠেছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি জয় পাওয়া গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামও। ফরচুন বরিশাল ও মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর মধ্যে থেকে যেকোনো একটি দল ফ্লে-অফে উঠবে।
টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বেক্সিমকো ঢাকা। নাঈম শেখ, ম্যাচসেরা সাব্বির রহমান, আল আমিন জুনিয়র, মুক্তার আলীদের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেটে ১৭৯ রান তোলে ঢাকা। জবাবে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকা জেমকন খুলনা ওপেনার জহুরুল ইসলামের ব্যাট থেকে ৫৩ রান পাওয়ার পরও জয়ের বন্দরে পৌঁছাতে পারেনি। শেষের দিকে শামীম পাটোয়ারির ঝড়ো ব্যাটিং হারের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র। ঢাকার ইনিংস শেষ হয় ১৫৯ রানে।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় খুলনা। হাফ সেঞ্চুরি করা জহুরুল ইসলাম ছাড়া কেউই বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারেননি। ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান এক পাশ আগলে খেলতে থাকলেও অন্য পাশে ভাঙনের সুর বাজতে থাকে। জহুরুলের আগে বিদায় নেন জাকির হাসান, সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মাশরাফি বিন মুর্তজারা।
পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫৩ রান করেন জহুরুল। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ করেন ২৩ রান। শেষের দিকে শামীম পাটোয়ারি ঝড় তুললেও লাভ হয়নি। ৯ বলে ২টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৪ রান করে আউট হন যুব বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য। ঢাকার স্পিনার রবিউল ইসলাম রবি সর্বোচ্চ ৫টি উইকেট নেন। এ ছাড়া রুবেল হোসেন ও মুক্তার আলী ২টি করে উইকেট নেন।
এরআগে ব্যাটিং করা বেক্সিমকো ঢাকার হয়ে চারজন ব্যাটসম্যান রান করেছেন। শুরুটা একেবারে খারাপ হয়নি মুশফিকের দলের। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান যোগ করেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও সাব্বির রহমান। মাশরাফি বিন মুর্তজার করা ইনিংসের প্রথম ওভার থেকে ৩ রান পায় ঢাকা। কিন্তু দ্বিতীয় ওভারে ঝড় বইয়ে দেন নাঈম। সাকিব আল হাসানের করা ওভারে ৪টি ছক্কাসহ ২৬ রান তোলেন বাঁহাতি এই ওপেনার।
মাত্র ১৭ বলে ৫টি ছক্কায় ৩৬ রান করে আউট হন নাঈম। এরপর সাব্বির ও আল আমিনের ব্যাটে এগিয়েছে ঢাকা। ম্যাচসেরা সাব্বির ৩৮ বলে ৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৫৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন। মেহেদী হাসার রানার বদলে ঢাকার দলে সুযোগ পাওয়া আল আমিন জুনিয়র ২৫ বলে ৪টি চার ও একটি ছক্কায় ৩৬ রান করেন।
শেষের দিকে ১৪ বলে একটি চার ও ৪টি ছক্কায় ৩১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন মুক্তার আলী। দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামা মাশরাফি ৪ ওভারে ২৬ রান খরচায় মুশফিকের উইকেটটি পান। দুটি উইকেট নেন খুলনার পেসার শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়া প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা নাজমুল ইসলাম অপু ও হাসান মাহমুদ একটি করে উইকেট পান।