ফিক্সিং করা ক্রিকেটারদের ফাঁসি চান জাভেদ মিয়াঁদাদ
ফিক্সিং করে শাস্তি পাবেন, সেই শাস্তি শেষে আবারও খেলায় ফিরবেন কোনো ক্রিকেটার; এমনটি চান না পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক জাভেদ মিয়াঁদাদ। তার মতে, স্পট ফিক্সিং করা আর কাউকে খুন করা সমান ব্যাপার। তাই এর শাস্তিও একইরকম হওয়া উচিত। এ কারণেই পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়কের চাওয়া, ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সারদের যেন ফাঁসি দেওয়া হয়। ইউটিউবে নিজের ব্যক্তিগত চ্যানেলে এসব কথা বলেছেন মিয়াঁদাদ।
পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) স্পট ফিক্সিং করে শাস্তি পান শারজিল খান। শাস্তি শেষে পিএসএল দিয়েই আবার ক্রিকেটে ফিরেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। জাতীয় দলে ফেরার পথও খোলা আছে তার জন্য। শারজিলের প্রত্যাবর্তনে সমালোচনা শুরু হয়েছে পাকিস্তানে। তার ফেরা নিয়ে সমালোচনা করেছেন মোহাম্মদ হাফিজ ও শহীদ আফ্রিদি।
জাভেদ মিয়াঁদাদও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। তবে তিনি হাফিজ বা আফ্রিদির মতো রয়ে-সয়ে কথা বলেনননি। তিনি বলেছেন, 'স্পট ফিক্সিংয়ের সাথে জড়িত ক্রিকেটারদের কঠিনতম শাস্তি হওয়া উচিত। স্পট ফিক্সারদের ফাঁসি হওয়া উচিত, কারণ এটা কাউকে খুন করার মতোই। তাই এর শাস্তিও একইরকম হওয়া উচিত। একটি উদাহরণ তৈরি করতে হবে, যেটা দেখে কেউ আর এমন করার চিন্তা না করে।'
এসব ব্যাপার ইসলাম ধর্মের সঙ্গেও যায় না বলে মনে করেন মিয়াঁদাদ। তাই শাস্তিটা ঠিকমতোই হওয়া উচিত। ফিক্সারদের ক্ষমা করে দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঠিক করছে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ বিষয়ে মিয়াঁদাদ আরও বলেন, 'এসব ক্রিকেটারদের ক্ষমা করে দিয়ে পাকিস্তান ঠিক করছে না। যারা এসব ক্রিকেটারদের ফিরিয়ে আনছে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত। যেসব ক্রিকেটার এসব করে, তারা তাদের পরিবারের প্রতিও দায়িত্বশীল নয়। না হলে কখনই এসব করতে পারত না। তাদের আত্মাই ভালো না। মানবিক দিক থেকে এসব কাজ ভালো নয়। তাই এসব মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার নেই।'
ম্যাচ পাতানো বা স্পট ফিক্সিংয়ে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং করে নিষিদ্ধ হন সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ ও মোহাম্মদ আমির। সর্বশেষ পিএসএলে স্পট ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়ে তা গোপন করায় শাস্তির মুখে পড়তে যাচ্ছেন উমর আকমল। এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন তিনি। যদিও এই ঘটনায় আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে গিয়েছিলেন আকমল।