জয়ও যথেষ্ট হলো না মেক্সিকোর, বাদ পড়লো সৌদি আরবও
প্রাণপন চেষ্টা করেও পারল না মেক্সিকো, টানা ৭ বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে খেলার পর অবশেষে গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ল তারা। সৌদি আরবকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়েও পোল্যান্ডের থেকে গোল পার্থক্য কম থাকায় বাড়ির পথ ধরতে হল মেক্সিকোকে।
কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে একই ম্যাচ শেষে একসাথে গ্রুপ থেকে বাদ পড়েছে মেক্সিকো এবং সৌদি আরব। এর ফলে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ৪৪ বছর পর বিদায় নিল মেক্সিকো।
দুই দলের জন্য সমীকরণটা ছিল দুইরকম। জয় কিংবা ড্র সৌদি আরবকে নিয়ে যেতো নক-আউট পর্বে। মেক্সিকোর জিততে হতো কমপক্ষে ৩ গোলের ব্যবধানে। কোনো দলই সমীকরণ মেলাতে না পারায় বিদায় নিতে হল গ্রুপ পর্ব থেকেই।
মেক্সিকোর বিপক্ষে জিতলে তো বটেই, ড্র করলেও সৌদি আরবের সামনে সুযোগ ছিল নক-আউট পর্বে উঠার। প্রথম ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে হইচই ফেলে দেওয়া সৌদি আরবের মাঝে সেই স্পৃহা আর দেখা গেল কই!
বরং বড় ব্যবধানে জেতার সমীকরণ সামনে নিয়ে খেলতে নামা মেক্সিকোরই ক্ষুধা ছিল বেশি। পুরো ম্যাচ জুড়ে মেক্সিকানদের ২৬ বার গোলের প্রচেষ্টা যেটির প্রমাণ, বিপরীতে সৌদি আরবের প্রচেষ্টা ছিল ১০ টি।
ম্যাচের প্রথমার্ধ টানটান উত্তেজনায় ভরপুর থাকলেও গোল পায়নি কেউ। দ্বিতীয়ার্ধে খেলায় আরও গতি আসে, বিশেষ করে মেক্সিকোর আক্রমণের তোড়ে যেন উড়েই যাচ্ছিল সৌদি আরব। ৪৭ মিনিটে মার্টিনের গোলে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় মেক্সিকো, ৫২ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি-কিক থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন চাভেজ।
আর্জেন্টিনার বিপক্ষে পোল্যান্ড ২-০ গোলে হারায় মেক্সিকোর দরকার ছিল কেবল আরেকটি গোল। সেটির খোঁজেই সব খেলোয়াড়কে মাঠের উপরিভাগে তুলে আনার ঝুঁকি নেন মেক্সিকোর কোচ মার্টিনো। তবে সেটি কাজে লাগেনি, উল্টো যোগ করা সময়ে আল দাওসারি সৌদির পক্ষে একটি গোল শোধ করেন।
তারপরেও একটি গোল দিলেই বেশি গোল করার জন্য নক-আউটে চলে যেতো মেক্সিকো। কিন্তু আপ্রাণ চেষ্টা করেও সফল হয়নি তারা। ফলে ভাঙা হৃদয় নিয়েই দেশে ফিরতে হবে উত্তর আমেরিকান দলটিকে।