আজ জিতলেই ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান মরক্কোর
কাতারে আরব বসন্তের শেষ ভরসা হিসেবে টিকে আছে মরক্কো। কানাডার বিপক্ষে জিতলে তো বটেই, ড্র করলেই শেষ ১৬ তে উঠে যাবে আফ্রো-আরব এই দেশটি, এমনকি হেরে গেলেও সুযোগ থাকবে উত্তীর্ণ হওয়ার। যার ফলে ৩৬ বছর পর আবারও বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে উঠবে মরক্কো।
'অ্যাটলাসের সিংহ' ডাকনামধারী মরক্কোর এই দলের সামনে সুবর্ণ সুযোগ ইতিহাসের পাতায় নিজেদের নাম খোদাই করে নেওয়ার। কানাডার সঙ্গে জয় বা ড্র করলে তো কোনো কথাই নেই, হেরে গেলেও শেষ ১৬ তে উঠার সুযোগ ভূ-মধ্য সাগরের তীরের এই দেশের।
৩৬ বছর আগের ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়েছিল মরক্কো, প্রথম আফ্রিকান দল হিসেবে বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে উঠার কীর্তিটা যে সেই বিশ্বকাপেই। কাতারে হাকিমি-জিয়েশদের সামনে ৩৬ বছর আগের ইতিহাস পুনর্জ্জীবিত করার সুযোগ আজ।
১৯৮৬ মেক্সিকো বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে উঠার পথে গ্রুপ মরক্কো হারিয়েছিল ইউরোপিয়ান পরাশক্তি এবং দুই বছর আগের ১৯৮৪ ইউরোর সেমি-ফাইনাল খেলা পর্তুগালকে, তাও ৩-১ গোলের ব্যবধানে। এছাড়াও পোল্যান্ড এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ড্র করেছিল তারা, কোনো ম্যাচেই গোল খায়নি মরক্কো।
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নক-আউটে উঠেও সেই বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট পশ্চিম জার্মানির বিপক্ষে খেলতে হয়েছিল মরক্কোকে, কারণ পশ্চিম জার্মানি হয়েছিল নিজেদের গ্রুপের রানার্স-আপ। শেষ পর্যন্ত লড়েও মাত্র ১-০ গোলের ব্যবধানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছিল মরোক্কানদের।
কাতারেও মরক্কোর সামনে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন উঠার দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে, ১৯৮৬ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে যেমন তারা কোনো গোল খায়নি, এবারও নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে মরক্কোর রক্ষণে ফাটল ধরাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া এবং বেলজিয়াম।
কানাডার বিপক্ষেও যদি এই ধারা বজায় রাখতে পারেন হাকিমি-জিয়েশরা, ৩৬ বছরের অপেক্ষা ঘোচার সাথে সাথে মরক্কোর ফুটবল ইতিহাসে অমর হয়ে যাবেন তারা।
'অ্যাটলাসের সিংহ'রা যে সেটি পারবে তা নিশ্চিত করতে ৪৫ হাজার মরোক্কান সমর্থকও যে থাকবেন তাদের সাথে!