'স্যরি! তুমি কী পাগল হয়েছো?'- রদ্রিগোকে নেইমার
হেক্সা জয়ের মিশনে কাতারে এসেছিল ব্রাজিল। কিন্তু ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টাইব্রেকারে হেরে শেষ আট থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট ভাবা দলটিকে। ম্যাচশেষে ব্রাজিল খেলোয়াড়দের স্বপ্নভঙ্গের কান্নার দৃশ্য দেখা গিয়েছে মাঠেই।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পরেও মাঠে বেশ কিছুক্ষণ বসে থেকে কাঁদতে দেখা যায় নেইমারকে। এই ব্রাজিলের সবথেকে বড় ভরসার প্রতীক ছিলেন তিনি, তাই কষ্টটাও হয়তো অন্যদের থেকে নেইমারেরই বেশি ছিল।
তবে কম কষ্ট পাননি অন্য খেলোয়াড়রাও, বিশেষ করে টাইব্রেকারে পেনাল্টি মিস করা মার্কিনহোস আর রদ্রিগোর যন্ত্রণা যে অনেক বেশিই। সেটিও জানা গেল নেইমারের মারফত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিজের অ্যাকাউন্টে কিছু ছবি দিয়েছেন নেইমার।
সেখানেই বাদ পড়ার পর মার্কিনহোস, রদ্রিগো সহ আরো কয়েকজন খেলোয়াড়ের সঙ্গে নেইমারের কথোপকথনের কিছু নমুনা দেখা গিয়েছে। তবে যাদের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদানের এই ছবিগুলো দিয়েছেন নেইমার, তাদের কারোর অনুমতি যে নেননি সেটিও জানিয়েছেন তিনি।
অনুমতি না নেওয়ার কারণও দেখিয়েছেন নেইমার, বার্তাগুলোতে দেখা যাচ্ছে খেলোয়াড়রা নিজেদের কষ্ট প্রকাশ করছেন, আর এটিই সবাইকে দেখাতে চেয়েছেন নেইমার। তার উদ্দেশ্য ছিল সবাই কেমন যন্ত্রণা পাচ্ছে সেটি সবাইকে দেখানো।
যার টাইব্রেকার শট মিসের পর ব্রাজিলের বিদায় নিশ্চিত হয় সেই মার্কিনহোস নেইমারকে লিখেছেন, 'আমি খুব করে জিততে চেয়েছিলাম, আমার সর্বোচ্চটাই দিয়েছিলাম। কিন্তু পেরে উঠলাম না। আমাদেরকে শক্ত থাকতে হবে, দেখা যাক সামনে ফুটবল আমাদের জন্য কী রেখেছে।'
জবাবে নেইমার বলেন, 'একটা টাইব্রেকার শট মিসের জন্য তোমার প্রতি আমার ধারণা বদলে যাবে না।'
কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা বর্ষীয়ান ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভার সঙ্গে আদান-প্রদান করা বার্তার ছবিও দিয়েছেন নেইমার। যেখানে দেখা যাচ্ছে নিজের দুঃখ প্রকাশ করছেন সিলভা।
তবে সবথেকে বেশি আবেগঘন বার্তাটি নেইমার দিয়েছেন প্রথম শট মিস করা রদ্রিগোকে। নেইমারের স্বপ্ন পূরণ করতে না পারায় তাকে 'স্যরি' বলে বার্তা দেন রদ্রিগো। জবাবে নেইমার বলেন, 'স্যরি? তুমি কী পাগল হয়েছো? তুমি একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়।'