দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল নিয়ে এমবাপ্পের 'অসম্মানকর' মন্তব্যের জবাব কি দিতে পারবে আর্জেন্টিনা?
আর মাত্র একদিন, তারপরেই প্রস্তুত বিশ্বকাপ ফুটবলের সেই মহারণ। রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা। লাতিন আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান ফুটবলের মধ্যে এক ধরনের দ্বন্দ্ব যেন সবসময়ই লেগেই আছে, ফ্রান্স বনাম আর্জেন্টিনার লড়াইও এর ব্যতিক্রম নয়। তার ওপর, একসময় দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল খেলার ধরন নিয়ে অসম্মানজনক মন্তব্যও করেছিলেন বর্তমানে ফ্রান্স দলের সবচেয়ে বড় তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। তাই এবারই মেসিদের সামনে সুযোগ এর বদলা নেওয়ার!
ফরাসি ক্লাব প্যারিস সেইন্ট-জার্মেইয়ে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে সতীর্থ হলেও, জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচের ক্ষেত্রে যে কেউ কাউকে এক চুলও ছাড় দেবেন না তা নিশ্চিত। বিশেষ করে ২০১৮ বিশ্বকাপের নক-আউট পর্বে ফ্রান্সের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার দুঃসহ স্মৃতি নিশ্চয়ই তাড়া করে ফিরছে আর্জেন্টিনা দলকে। তাই এবার বদলা নেওয়ার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চাইবেন না মেসি।
কিন্তু দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সম্পর্কে কী বলেছিলেন এমবাপ্পে? খুব বেশিদিন আগের কথা নয়, ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ শুরুর আগেই এমবাপ্পে দাবি করেছিলেন যে দক্ষিণ আমেরিকার দলগুলোর চাইতে ইউরোপের দলগুলো বেশি ভালো। কারণ সর্বশেষ কোনো লাতিন আমেরিকান দল হিসেবে ২০০২ সালে বিশ্বকাপ নিয়েছিল ব্রাজিল।
সেসময় এমবাপ্পে বলেছিলেন, "দক্ষিণ আমেরিকায় ফুটবল খেলাটা ইউরোপের মতো এতটা অগ্রসরমান নয়। সে কারণেই দেখা গেছে শেষ কয়েকটি বিশ্বকাপ শুধুই ইউরোপিয়ানরা জিতেছে। ইউরোপে আমাদের সুবিধা হলো, আমরা সবসময় উচ্চতর পর্যায়ে ম্যাচগুলো খেলে অভ্যস্ত। আমরা সবসময় তৈরি হয়েই থাকি, কিন্তু ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা তা থাকে না।"
তবে এমবাপ্পের কথাকে ভুল প্রমাণ করে দিয়েই এবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে টুর্নামেন্টে এসেছিল ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনা প্রথম ম্যাচে হোচট খেয়ে বিশ্বজুড়ে ঝড় তুলে ফেললেও, পরের সবগুলো ম্যাচেই দারুণ পারফরমেন্স দেখিয়েছে লিওনেল মেসির দল। অন্যদিকে, টুর্নামেন্টের শুরু থেকে ব্রাজিলকেই সবচেয়ে বিধ্বংসী দল হিসেবে মনে করা হলেও, কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি ট্র্যাজেডিতে ক্রোয়েশিয়ার কাছে ৪-২ গোলে হেরে গিয়েছে তিতের দল।
তবে আর্জেন্টিনার সামনে এখনও প্রতিশোধ নেওয়ার রাস্তা খোলাই আছে। লিওনেল মেসির সর্বকালের সেরা হয়ে ওঠার শেষ পদক্ষেপ হিসেবে তিনিও বিশ্বকাপ জিততে মরিয়া। এদিকে টুর্নামেন্ট চলাকালীনই কিছু আর্জেন্টিনা ভক্ত গুটিকয়েক ফরাসি ফুটবলারের জাতিগত পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক তৈরি করেছিল। তাই দুই দলের মধ্যে যে কোনোভাবেই বন্ধুত্বের সম্পর্ক নেই তা বলাই যায়।
সূত্র: মার্কা