বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ দেখেছেন কতজন
'দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ', কাতার বিশ্বকাপের পর্দা নামল রাতে। দম বন্ধ করা ম্যাচে টাইব্রেকারে ফ্রান্সকে হারিয়ে ৩৬ বছর পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হলো আর্জেন্টিনা।
ফাইনাল ম্যাচটি দেখতে টেলিভিশন পর্দার সামনে বুঁদ হয়ে ছিলেন কোটি দর্শক।
আসলে চার বছর পর পর আয়োজিত ফিফা বিশ্বকাপের উত্তেজনা সমগ্র বিশ্বের ক্রীড়ামোদীদের কাছে একই মাত্রায় পৌঁছে; আর তাই প্রতিবছর দর্শকের সংখ্যা ছাড়িয়ে যায় আগেরটিকে। যদিও ভাবা হচ্ছে, এবার টিভির দর্শকসংখ্যাকে ছাপিয়ে গেছে ডিজিটাল মাধ্যমের দর্শকসংখ্যা।
বলতে পারেন, কতজন আসলেই দেখে থাকেন বিশ্বকাপ ফুটবলের সর্বশেষ ম্যাচ!
বিশ্বকাপের ফাইনাল দেখেন কতজন?
২০০৬ সালের টুর্নামেন্টে সামান্য হ্রাস পেয়েছিল, এরপর ২০১০ সাল থেকে বিশ্বজুড়ে এই মহারণের খেলা দেখার প্রবণতা শুধুই বেড়েছে।
ফিফার অফিসিয়াল তথ্য অনুসারে, ২০১৮ সালে বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো দেখেছিলেন আনুমানিক ৩.৫৭৫ বিলিয়ন মানুষ। মস্কোতে শুধু ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ফ্রান্সের জয়সূচক ফাইনাল ম্যাচটির সাক্ষীই হয়েছিল ১.১২ বিলিয়ন দর্শক।
এখানে অবশ্য দুটি ভাগ- একদল বাড়িতে দেখেছেন যাদের সংখ্যা ৩.২৬২ বিলিয়ন (২০১৮), এর পাশাপাশি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম বা অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে দেখেছেন ৩০৯.৭ মিলিয়ন লোক।
এবারের বিশ্বকাপ নিয়ে ফিফা প্রাথমিকভাবে এখন পর্যন্ত যে তথ্য দিয়েছে, তাতে এই রেকর্ড ভাঙ্গার ইঙ্গিতই মিলছে।
ফিফা আনুষ্ঠানিকভাবে খেলার 'ভিউ' গণনা শুরুর পর ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো তা এক বিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। সে বছর বিশ্বকাপের খেলা দেখেছিলেন ১.০১ বিলিয়ন মানুষ। চার বছর পর ২০১৮-তেই, সে সংখ্যা দাঁড়ায় ১.১২ বিলিয়নের ওপর।
আগেই বলেছি, এ হার কমে আসে ২০০৬ সালে জার্মানিতে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে, যদিও সেটি ছিল কয়েকটি দেশের উপর ভিত্তি করে। পরের বছরই দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনাল উপভোগ করেছিল ৯০৯ মিলিয়ন মানুষ।
কালকের আর্জেন্টিনা বনাম ফ্রান্স ফাইনাল ম্যাচটি দেখেছেন কতজন, তার এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পরিসংখ্যান নেই। তবে যেভাবে প্রতিবার পরিসংখ্যানের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে, তাতে কালকের ম্যাচ দেখা দর্শকের সংখ্যা ১.৫ বিলিয়ন হলেও তা অবাক করার মতো বিষয় হবে না।