বাটলার ঝড়ে অস্ট্রেলিয়াকে উড়িয়ে সেমিতে এক পা ইংল্যান্ডের
ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে যেমন ভক্ত-সমার্থকদের আগ্রহের শেষ নেই, তেমনি ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে সবার দৃষ্টি থাকে। এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হলেই রোমাঞ্চকর এই ম্যাচের কল্পনা এঁকে ফেলেন ক্রিকেটমোদীরা। কিন্তু সর্বশেষ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মতো এই লড়াইও হলো একপেশে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়াকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়ে বিশাল এক জয় তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
শনিবার দুবাইতে সুপার লিগে ১ নম্বর গ্রুপের ম্যাচে জস বাটলারের ব্যাটিং ঝড়ে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। সুপার লিগে এটা তাদের টানা তৃতীয় জয়। এই জয়ে সেমি- ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখল ইয়ন মরগানের দল। প্রথম দুই ম্যাচ জেতা অস্ট্রেলিয়া তৃতীয় ম্যাচ হেরে পয়েন্ট টেবিলে কিছুটা পিছিয়ে পড়ল।
টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নামা অস্ট্রেলিয়া পুরো ইনিংসে ধুঁকে ধুঁকে ব্যাটিং করে। ম্যাচসেরা ক্রিস জর্ডান, আদিল রশিদ, লিয়াম লিভিংস্টোনদের অসাধারণ বোলিংয়ের সামনে সব কটি উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান তোলে অজিরা। জবাবে দাপুটে শুরু করা ইংল্যান্ড জস বাটলার ও জনি বেয়ারস্টোর ব্যাটে দুই উইকেটে ১১.৪ ওভারেই জয় তুলে নেয়। ৫০ বল হাতে রেখে জেতায় নেট রান রেটে অনেক এগিয়ে গেল তারা।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৬৬ রান যোগ করেনজেসন রয় ও বাটলার। রয় ২২ রান করে ফিরলেও চলতে থাকে বাটলার ঝড়। দাভিদ মালান ৮ রান করে ফিরলে বেয়ারস্টোকে সঙ্গে নিয়ে জয় তুলে নেওয়ার কাজটি সারেন বাটলার। ডানহাতি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মাত্র ২ বলে ৫টি করে চার ও ছক্কায় ৭১ রানের ঝলমলে এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ১৬ রানে অপরাজিত থাকেন বেয়ারস্টো। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাস্টন অ্যাগার ও অ্যাডাম জ্যাম্পা একটি করে উইকেট নেন।
এর আগে ব্যাটিং করা অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। এ ছাড়া ম্যাথু ওয়েড ১৮, অ্যাস্টন অ্যাগার ২০, প্যাট কামিন্স ১২ ও মিচেল স্টার্ক ১৩ রান করেন। ম্যাচসেরা জর্ডার ৪ ওভারে মাত্র ১৭ রান খরচায় ৩টি উইকেট নেন। টাইমাল মিলস ও ক্রিস ওকস পান ২টি করে উইকেট। একটি করে উইকেট নেন আদিল রশিদ ও লিয়াম লিভিংস্টোন।